সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে সহকারী শিক্ষকদের বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা নীতিমালা উপেক্ষা করে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে জ্যৈষ্ঠ শিক্ষকদের বদলির প্রস্তাব না করে জুনিয়র শিক্ষককে বদলির জন্য প্রস্তাব করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে শাল্লা উপজেলার রূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পিলু চৌধুরী সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে তিনি এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি রূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পিলু চৌধুরী নিজ বিদ্যালয় থেকে একই উপজেলার মেঘনাপাড়া বিদ্যালয়ে বদলির জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ফেরদৌসের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু তিনি পিলু চৌধুরীর বদলির প্রস্তাব না পাঠিয়ে একই বিদ্যালয়ের জুনিয়র সহকারী শিক্ষক বাবুল চন্দ্র চৌধুরীর বদলি প্রস্তাব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করেছেন। বাবুল চন্দ্র চৌধুরীর শিক্ষক জ্যৈষ্ঠতার ক্রমিক নম্বর-১৪২, অথচ পিলু চৌধুরীর জ্যৈষ্ঠতার ক্রমিক নম্বর-৫২।
কিন্তু উপজেলা শিক্ষা অফিসার নীতিমালা লঙ্ঘন করে ৯০ নম্বর পেছনের জুনিয়র শিক্ষকের বদলির জন্য প্রস্তাব করেন। জ্যৈষ্ঠ শিক্ষকদের বদলির প্রস্তাব না করে তিনি সুবিধা নিয়ে অপেক্ষাকৃত অনেক জুনিয়র শিক্ষকদের বদলির প্রস্তাব করছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে। রূপসা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পিলু চৌধুরী জুনিয়র শিক্ষক বাবুল চন্দ্র চৌধুরীর পরিবর্তে তার বদলির জন্য তিনি দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শাল্লা উপজেলা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌসের মুঠোফোনে একাধিকবার অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘শাল্লার একজন সহকারী শিক্ষকের লিখিত আবেদন পেয়েছি। জ্যৈষ্ঠতা লঙ্ঘন করে কোনো জুনিয়র শিক্ষককে বদলি প্রস্তাব করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড