গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মাঝিগাতি ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের বাবু কাজীর ছেলে কাজী ইকবাল হোসেন মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছেন। অথচ একদিন এই ইকবাল কাজী শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি জামায়াতের পাতানো একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করার লক্ষ্যে রাস্তায় অদম্য সাহসিকতা নিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই তরুণ। নির্বাচন পরিচালনায় আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত (বিডিআর) বর্তমান বিজিবি আন্দোলন প্রতিরোধ করার জন্য নৃশংসভাবে গুলি চালায়। গুলিতে ওই তরুণ মারাত্মকভাবে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বিডিআর বাহিনীর জোয়ানরা তাকে বেধড়ক প্রহার করে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়।
সঙ্গে থাকা বড়ভাই কাজী আসলাম, একই গ্রামের ফিরোজ শেখ, কাবিল সরদার আহতকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে স্থানীয় এমপির পরামর্শে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসায় বেঁচে ফিরলেও তার ডান হাতটি চিরদিনের জন্য বিকলাঙ্গ হয়ে যায়।
বর্তমান সংসারে স্ত্রী সন্তানদের ভরণপোষণ করা তার জন্য খুবই কষ্টদায়ক। নানা ঘাত প্রতিঘাতে প্রাণে বেঁচে থাকলেও সেদিনের কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন আর বলেন, আমার পরিবার মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পরিবার। চাচা আবু তারা কাজী মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হয়েছিলেন তার সঙ্গে ফুফাতো ভাই ফারজু খান, কিবরিয়া খান, চাচার বন্ধু পাশের ডুমরাশুর গ্রামের শচিন বৈদ্য এই চারজন পাকিস্তানী হানাদারদের হাতে শহিদ হয়েছিলেন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ করে যাব যতই কষ্ট হোক না কেন। তিনি ইচ্ছা পোষণ করেন অন্তত জীবনে একবারের জন্য হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে চাই।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড