আরিফুল ইসলাম রিফাত
ফেব্রুয়ারি মাস। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস। যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা বিশ্ব এই দিনটি পালন করা হলেও চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বটতলী বাজারের দক্ষিণে মহাসড়ক পোস্ট অফিস সংলগ্ন শহীদ মিনার ছিল অযত্ন ও অবহেলায়। ভাষার মাস পার হয়ে গেলেও টনক নড়েনি স্থানীয় প্রশাসন কিংবা কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের।
কিছুদিন আগেও যেখানে শহীদ মিনারের আশপাশে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় ছিলো এখন সেখানে শোভা পাচ্ছে লাল সবুজের ঢেউ খেলানো সুসজ্জিত হরেক রকমের গাছ ও ফুলের চারা।
সম্প্রতি লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু আসলামের বদান্যতায় শহীদ মিনার এলাকাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও দখলমুক্ত করে বাঁশের বাউন্ডারি দেওয়া হয়েছে। রয়েছে হরেক রকমের গাছ ফুলের চারার সমাহার।
কিছুদিন আগেও এখানে প্রতিনিয়ত বাজারের দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা-আবর্জনাগুলো ফেলা হত। গড়ে উঠেছিল অবৈধ মিনি ট্রাক স্ট্যান্ড। শহীদ মিনারের যে সম্মান তা এতদিন ধরে ক্ষুণ্ণ করে আসছিল একদল সুবিধাভোগী গোষ্ঠী। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের উদ্যোগে ২০১১ সালে বটতলী শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয় বলে জানা যায়।
শহীদ মিনার (ছবি : দৈনিক অধিকার)
স্থানীয়রা জানান, শহীদ মিনারটির আশপাশে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল। স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার বিষয়টি জানানো হলেও কোনো সুরাহা মেলেনি। তবে শেষ পর্যন্ত এটিকে নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে তুলেছেন লোহাগড়া নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু আসলাম। এর জন্য তিনি সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আসলাম দৈনিক অধিকারকে বলেন, 'এটাকে আমি নৈতিক দায়িত্ব মনে করেছি। একটা শহীদ মিনার পরিত্যক্ত আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে, অবৈধভাবে দখল করে রাখা হয়েছে। সেই জায়গাটাকে পরিষ্কার করে দখলমুক্ত করে ফুলের বাগান করেছি শহীদ মিনারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছি। লাইটের ব্যবস্থা করেছি। বিদেশী পর্যটকেরা এদিক দিয়ে যায়। আবর্জনা দেখলে তাদেরও মন খারাপ হয় এবং এটা দেশের মানুষের সম্মানেরও একটা বিষয়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমি এ কাজ করেছি'।
এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড