শাকিল মুরাদ, শেরপুর
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামে খাবার পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে বিশুদ্ধ খাবার পানি না পেয়ে তারা নির্ভর করছে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণা, পুকুর ও মাটির কুয়ার ওপর। এসব দূষিত পানি পান করায় এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ। পানি সঙ্কটের কারণে চরম দুর্ভোগে আছেন কয়েক হাজার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের মালাকোচা, বড়ইকুচি, হালুহাটি, বিলভরট, বালিজুরি গ্রামে খাবার পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। গত ডিসেম্বর মাস থেকে এসব গ্রামে অনেকের টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। এমনকি অনেক বাড়ির আশপাশে নেই কোনো গভীর নলকূপ। ফলে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সঙ্কটে পড়েছেন এসব গ্রামের প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ। গ্রামবাসীরা নিরুপায় হয়ে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণা, ডোবা নালা, পুকুর ও মাটির কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করে পান করছেন। এতে এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ। তবে রোগে আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি।
স্থানীয় এক নারী বলেন, ‘পানি তো নাই, দেশে পানির আহাল (সংকট) পড়েছে। আমরা সরকারের কাছে নলকূপ স্থাপনের দাবি করতেছি।’
রানীশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন, বিষয়টি উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলকে অবহিত করেছেন।
শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান জানান, পানি সঙ্কটে গ্রামগুলোতে ভূগর্ভে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এজন্য সাধারণ টিউবওয়েল থেকে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ওইসব এলাকায় দ্রুত গভীর নলকূপ স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে একটি নলকূপ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পরবর্তী এলাকাতেও গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড