ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়মই যেন নিয়ম। একজন চিকিৎসক ২০১৬ সালে তিন দিনের ছুটি নিয়ে প্রায় সাড়ে তিন বছর কর্মস্থলে আসেননি। তার এ দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণ জানাতে পারেননি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। এ ছাড়া দুই জন চিকিৎসক প্রেষণে ফেনী সদর হাসপাতালে রয়েছেন। ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য তারা তদবির করে ফেনীতে চলে গেছেন বলে জানা গেছে। আরেকজন ডাক্তার মার্তৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। তবে তার বিকল্প কাউকে দেওয়া হয়নি।
সরেজিমনগিয়ে দেখা যায়, ছাগলনাইয়া হাসপাতালে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ চিকিৎসকের সাতটি পদ শূন্য। নয়জন কর্মরত রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইচ্ছামতো আসা-যাওয়া করেন।
অভিযোগ রয়েছে, ফেনী সদরে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে মধ্যরাত পর্যন্ত রোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তারা ঠিকমতো হাসপাতালে আসতে পারেন না।
দেরি করে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শিহাব উদ্দিন জানান, তাতে সমস্যা কী?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সহকারি সার্জন ডা. ছালাহ উদ্দিন ভূঁইয়া ২০১৬ সালের এপ্রিলে তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি নিয়ে যাওয়ার পর কর্মস্থলে আর উপস্থিত হননি। তাকে চাকরিবিধি অনুযায়ী সাময়িক বহিস্কারও করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
প্রেষণে ছাগলনাইয়া থেকে ফেনী হাসপাতালে আসা ডা. বজ্র গোপাল পাল জানান, সদরে চক্ষু চিকিৎসক না থাকায় তাকে সিভিল সার্জন ছাগলনাইয়া থেকে সদরে এনেছেন।
ডেন্টাল সার্জন ডা. শিব্বির আহম্মেদও ডেপুটেশনে ফেনী হাসপাতালে রয়েছেন। এ ছাড়া চক্ষু, ডেন্টাল, চর্ম ও যৌন, অর্থোপেডিক্স, নাক-কান-গলা, সহকারী সার্জন প্যাথলজি, সহকারী সার্জন এএমসি, অ্যানেসথেটিস্টের পদগুলো শূন্য রয়েছে। হাসপাতাল থেকে ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক পদেই লোকবল নেই।
এসব বিষয়ে জানতে ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, ডা. ছালাহ উদ্দিন বিদেশে চলে গেছে। তার চাকুরিও চলে যাওয়ার পথে। এরই মধ্যে তার বাড়িতে নোটিশ লাগানো হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড