বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় পরিবেশ আইন অমান্য করে রাতের আঁধারে কৃষি জমির উর্বর মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে ইটভাটায়। এতে জমির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার কারণে পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে। ক্রমেই বেড়ে চলেছে মাটি ব্যবসায়ীদের এ দৌরাত্ম।
অপরদিকে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলার লোকালয়ে ও ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে শতাধিক ইটভাটা। অর্ধশতাধিক মাটির পয়েন্ট ও শতাধিক ইটভাটার ব্যবহৃত ট্রাকের কবলে স্থানীয় সরকার নির্মিত সড়কগুলোরও বেহাল দশা হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে জন স্বাস্থ্য। পরিবেশ আইন অনুযায়ী কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে শ্রেণি পরিবর্তন করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় শতাধিক ইটভাটা এবং অর্ধশতাধিক মাটির পয়েন্ট রয়েছে। খোট্টাপাড়া ও মাদলা ইউনিয়ন এবং উপজেলাধীন বগুড়া শহরের বর্ধিত ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুজাবাদ এলাকায় ইটভাটার সংখ্যা বেশি। এসব ইটভাটায় মাটির যোগান দিতে উপজেলার কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কাটা হচ্ছে। কিছু কিছু মাটির পয়েন্ট থেকে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত অ্যাসকেভেটর দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটা হয়। উপজেলার সাজাপুর গ্রামের দর্জিপাড়া, ফকিরপাড়া, আকন্দপাড়া, পন্ডিতপাড়া, খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের খোট্টাপাড়া গ্রাম থেকে দিনে ও রাতে মাটি কাটা হয়। খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের জালসুকা এলাকার খাউড়া ব্রিজের পাশ থেকে ও বড়চান্দাই গ্রামে কৃষিজমি থেকে রাতে মাটি কাটা হচ্ছে। এসব পয়েন্ট থেকে অ্যাসকেভেটর দিয়ে গভীর গর্ত করে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে।
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের পরিবেশ ও ভূগোল বিভাগের প্রভাষক আবু সাঈদ জানান, অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলনের কারণে কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। জমির নিচ স্তরের মাটি কাটার কারণে ধুলার সৃষ্টি হয়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধদের এ্যাজমা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অপরদিকে ইটভাটায় কয়লা পুড়ানোর কারণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও মনো অক্সাইড নির্গত হচ্ছে। এতেও শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং জীববৈচিত্র হ্রাস পাচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. ফুয়ারা খাতুনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড