ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
বেসরকরি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ না করে জাল সনদে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক পদে চাকুরী করার দায়ে আতিকুর রহমান নামে এক ইংরেজি প্রভাষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
রবিবার বিকালে ওই কলেজের গভনিং বডির সভায় সিদ্ধান্তক্রমে তাকে চাকুরি হতে বরখাস্ত করা হয়। কলেজ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া ডিগ্রী কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা (বিএম) বিভাগের ইংরেজি প্রভাষক পদে আতিকুর রহমান নিয়োগপ্রাপ্ত হন।পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারী ১১,০০০/-টাকা বেতন স্কেলে এমপিওভুক্ত হন এবং সরকারি অর্থ ভোগ করেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১ জুলাই হতে উন্নীত স্কেলে ২২,১৮০/- স্কেলে বেতন প্রাপ্ত হন। এদিকে ২০১৫ সালের ২০ মে রুহিয়া ও নিরীক্ষা দপ্তরের যুগ্ম পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার ও অডিটর মাহমুদুল হক ডিগ্রী কলেজ পরিদশৃন করেন। ওই নিরীক্ষায় কলেজের বিএম শাখার ইংরেজি প্রভাষক আতিকুর রহমানের দাখিলকৃত বেসরকরি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সনদপত্র (৯ম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পাশের সনদ ২০০৯, বিষয়- ইংরেজি) জাল বলে ধরা পড়ে।অর্থাৎ আতিকুর রহমান নিজে পাশ না করে অন্য ব্যক্তির সনদপত্র সংগ্রহ করে জালিয়াতির মাধ্যমে চাকুরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়।অথচ এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর থেকে ডিসেম্বর ’২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রভাষক আতিকুর রহমান ৬৮ মাসে বেতন হিসেবে ১২ লক্ষ ২১ হাজার ২শ টাকা গ্রহন করেন। অডিটের ৩ বছর পর ২৬/১১/২০১৮ তারিখে শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রফেসর মো: সাজ্জাদ রশিদ স্বাক্ষরিত নিরীক্ষা প্রতিবেদন কলেজ অধ্যক্ষকে পাঠায়।ওই নিরীক্ষা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ বলেন,ইংরেজি প্রভাষক আতিকুর রহমানের নিবন্ধন সনদপত্রটি সঠিক নয় । ওই নিবন্ধন সনদটি অন্য কোন ব্যক্তির । এর প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ গত ৩১/০১/২০১৯ তারিখে প্রভাষক আতিকুর রহমানকে “দাখিলকৃত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পাশের সনদপত্রটি আসলে কার ব্যাখ্যা চেয়ে ৭ দিনের মধ্যে জবাব দাখিলের জন্য কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেন।ওই পত্রে বলা হয় নিধারিত সময়ের মধ্যে জবাব দাখির না করলে উত্থাপিত অভিযোগ সত্য বলে গন্য হবে।গত শনিবার (০৯/০২/২০১৯) এর মধ্যে নোটিশের জবাব দেওয়ার শেষ দিন থাকলেও তিনি কোন জবাব দাখিল করেন নি। এ ঘটনায় রোববার কলেজের গভনিং বডির জরুরী সভা আহবান করা হয় এবং প্রভাষক আতিকুর রহমান জাল সনদের ব্যাপারে কোন জবাব দাখিল না করায় তাকে চাকুরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।সেই সাথে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারী হতে ’২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন হিসেবে নেওয়া ১২ লক্ষ ২১ হাজার ২শ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে বলা হয়। এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ বলেন, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পত্রের প্রেক্ষিতে প্রভাষক আতিকুর রহমানের নিকট ব্যাখ্যা চেয়ে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব দাখিলে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে চাকুরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার কাছে সরকারের বেতন হিসেবে প্রদানকৃত অর্থ ফেরত দিতে বলা হয়েছে। মন্ত্রনালয় চাইলে তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা হতে পারে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড