• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বেড়েছে মোংলা বন্দরে রাজস্ব আয়

  বাগেরহাট প্রতিনিধি

১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:১৬
বন্দর
মোংলা স্থল বন্দর (ছবি- দৈনিক অধিকার)

মোংলা বন্দরে এক বছরের ব্যাবধানে এ রাজস্ব আয় বেড়েছে ৫০ শতাংশ। গত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ছিল ১৫ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে যা ৫০ শতাংশে উন্নিত হয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে বন্দরে বিদেশি জাহাজ এসেছিল ২৮২ টি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ সংখ্যা বেড়ে দাড়ায় ৬২৩ টিতে। একই সঙ্গে বন্দরে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পায় ২২৬ কোটি টাকা। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আসে ৭৮৪ টি জাহাজ। রাজস্ব আদায় হয় ২৭৬ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা। এক সময়কার ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে নিট মুনাফা হয় ১০৯ কোটি টাকা।

এদিকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এ কে এম ফারুক হাসান বলেন, চট্রগ্রাম বন্দরের তুলনায় মোংলা বন্দরে কন্টেইনার আনার খরচ বেশি। এছাড়া নাব্য সংকটের কারণে জাহাজ ভিড়তে পারেনা। এ সমস্যা সমাধানে প্রকল্প চলমান রয়েছে। জটিলতার অবসান হলে এ বন্দরে আমদানি-রফতানি আরও বাড়বে। মোংলা বন্দর উন্নয়নে ১০ টি প্রকল্প অনুমোদন হয়ে ৭ টি চলমান রয়েছে। ভারত ও চীনের অর্থায়নে একাধিক প্রকল্প চলমান রয়েছে। যা বাস্তবায়ন শেষ হলে বন্দরের গতিশীলতা পাল্টে যাবে।

তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালের পর থেকে লোকসানি প্রতিষ্ঠান থেকে বন্দরটি ধীরে ধীরে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। বর্তমানে এ বন্দরে ৬ টি নিজস্ব জেটি, ব্যক্তি মালিকানাধীন ৭ টি জেটি এবং ২২ টি অ্যাঙ্কোরেজের মাধ্যমে ৩৫ টি জাহাজ একসঙ্গে হ্যান্ডলিং করা সম্ভব। ৪ টি ট্রানজিট শেড, ২ টি ওয়ার হাউজ, ৪ টি কন্টেইনার ইয়ার্ড, ২ টি পার্কিং ইয়ার্ডের মাধ্যমে মোংলা বন্দর বার্ষিক ১’শ লাখ মেট্রিক টন কার্গো এবং ৭০ হাজার টিইউজ কন্টেইনার এবং ২০ হাজারেরও বেশি গাড়ি হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা রয়েছে।

মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী ষ্টিভিডরস রহমান এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী মশউর রহমান বলেন, মোংলা বন্দর ব্যবহারকারীদের কাজের পরিধি বেড়েছে, শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা হয়েছে। শ্রমিকরা এখন কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠছে। মোংলা বন্দরে যে পরিমান জাহাজ আসছে তা অন্য বছরের তুলনায় রেকর্ড গড়ে তুলছে।

মোংলা বন্দর সুত্রে জানায়, এ বন্দর দিয়ে রফতানিকৃত পণ্য হচ্ছে-পাট ও পাটজাত দ্রব্য, চিংড়ি, ক্লে টাইলস, চামড়া ও অন্যান্য সাধারণ পণ্য। বর্তমানে আমদানিকৃত পণ্য খাদ্যশস্য, সার, ক্লিংকার, মেশিনারি, গাড়ি, এলপি গ্যাস, কয়লা, লাইম স্টোন, পাম অয়েল, কাঠের লগ, পাথর ও অন্যান্য সাধারণ পণ্য। ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর মোংলা বন্দরের যাত্রা হয়। বন্দরটি বঙ্গোপসাগর থেকে ১৩১ কিলোমিটার উজানে অবস্থিত। প্রথমে এই বন্দর গড়ে ওঠে চালনা থেকে ১৮ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে। ১৯৫০ সালের ১১ ডিসেম্বর বন্দরটি বিদেশি একটি জাহাজ নোঙ্গরের মাধমে প্রথম এর নামকরন করা হয় চালনা বন্দর। কিন্তু সমুদ্রগামী জাহাজ নোঙ্গরের ক্ষেত্রে অধিকতর সুবিধাজনক হওয়ায় ১৯৫৪ সালে বন্দরটি মোংলায় স্থানান্তর করা হয়।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড