নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোণা পৌর এলাকায় জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে সরকারি পুকুর ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সরকারি পুকুরটি রক্ষার জন্য এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছে। জানা গেছে, প্রায় শত বছর ধরে জেলা শহরের সাতপাই এলাকার জমিদার কাচারী বাড়ি হিসেবে রেকর্ডকৃত খাস খতিয়ানভুক্ত ভুমিতে ৮০ শতাংশের একটি পুকুর অবশিষ্ট রয়েছে। পুকুরের আশপাশ জুড়ে শত শত পরিবার বসবাস করে। জমিদারী আমল থেকে উক্ত পুকুরে এলাকাবাসী তাদের গোসল থালা বাসন ধোয়াসহ দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে আসছেন। এছাড়াও পুকুরটি এলাকার পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এমতাবস্থায় পুকুরটি ভরাট হয়ে গেলে বড় ধনের পরিবেশ বিপর্যয়ে পড়তে হবে এলাকাবাসীকে।
লিখিত অভিযোগে এবং এলাকাবাসী জানান, জনৈক শোয়েব উদ্দিন জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে সরকারি পুকুরটি নিজের মালিকানার দাবি করে সেটি ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রি করায় পাঁয়তারা করছে। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী পুকুর ভরাটে বাধা দিলে শোয়েব উদ্দিন পেশি শক্তিকে কাজে লাগিয়ে রাতের অন্ধকারে পুকুরটি ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যা বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ আইনের সুষ্পষ্ট লঘঙন।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পুকুরটি ভরাট না করার জন্য এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে গত ১৮ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেও রাতের আঁধারে পুকুর ভরাটের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগকারীদের পক্ষে এলাকাবাসী অ্যাডভোকেট শফিউল হাসান মঞ্জু জানান। এ ব্যাপারে পুকুর ভরাটকারী শোয়েব উদ্দিন বলেন, এটি বাপ দাদার আমল থেকে আমাদের সম্পত্তি। তাছাড়া সবটুকু পুকুর ভরাট করা হবে না। এর কিছু অংশ ভরাট করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড