শাকিল রেজা, মেহেরপুর
১৯৭১ সালে মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। যে মেহেরপুর থেকে প্রথম সরকারের গঠন হয়েছিল সেই পুণ্যভূমিতে স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও কেউ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেননি।
৪৮ বছর আগে জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে অনুষ্ঠিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ। সে দিন শপথ অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। আর সেই থেকে বৈধনাথতলার নাম দেওয়া হয় মুজিবনগর। বাংলাদেশের সব থেকে ছোট জেলা মেহেরপুর। যেখানে মাত্র দুইটি আসন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মন্ত্রী হয়েছেন কিন্তু এমন একটি ঐতিহাসিক এলাকা থেকে এখনও কেউ মন্ত্রী হননি।
এ দিকে চলতি মাসের সোমবার (৭ জানুয়ারি) বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রীসভা শপথ নেবে। মেহেরপুরবাসী তাকিয়ে আছে তাদের বঞ্চনার ইতিহাস কি প্রলম্বিত হবে, নাকি ৪৮ বছর পর কেউ শপথ নেবে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে। এ জেলা থেকে অন্তত এক জনকে মন্ত্রী হিসাবে দেখতে চায় মেহেরপুরবাসী।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান বলেন, মুজিবনগর একটি ঐতিহাসিক জায়গা। মুজিবনগরকে স্বাধীনতার সূতিকাগার হিসাবে বলা যায়। মুক্তিযুদ্ধের সকল স্মৃতি এ মুজিবনগরের সঙ্গে জড়িত। মেহেরপুরের রাজনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে আরও সামনের দিকে নিয়ে যেতে এখানে একজন মন্ত্রীর প্রয়োজন।
ইউপি চেয়ারমান আয়ুব হোসেন বলেন, মুজিবনগরে মন্ত্রীরা আসে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। পরে আর মুজিবনগরের কথা কারও মনে থাকে না। তাই সর্বক্ষণিক মুজিবনগরের কথা মাথায় রাখতে, সকল উন্নয়নের কথা প্রধানমন্ত্রী প্রর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য মেহেরপুরে অবশ্যই একজন মন্ত্রীর প্রয়োজন।
কলেজ শিক্ষার্থী শাহীন ইসলাম বলেন, মেহেরপুরে বেকারত্বের সংখ্যা বেশি। আর এই বেকারত্ব নিরসনের জন্য কোনো ধরনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। মেহেরপুর থেকে যদি কেউ মন্ত্রী হয় তাহলে বেকারদের কর্মসংস্থানে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য এমএএস ইমন জানান, মেহেরপুরের একজন মন্ত্রী হলে মেহেরপুরের সম্মান অনেক বেড়ে যাবে। তাছাড়া মুজিবনগর একটি ঐতিহাসিক স্থান।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড