সিলেট প্রতিনিধি
ঈদ আসছে। শেকড়ের টানে মানুষ আপনজনদের কাছে ফিরবে। ট্রেনে টিকিট সংকট। প্লেনের ভাড়া দুর্লভ। তাই নানা শঙ্কা নিয়ে ঈদে সড়কপথে মানুষ ফিরবে ঘরে। আর তাদের শঙ্কার মূল কারণ সড়কের বেহাল দশা।
প্রতি বছরই ঈদকে সামনে রেখে সিলেট সড়কে শুরু হয় জোড়াতালির তোড়জোড়। তবে কয়েকদিন যেতে না যেতেই সড়ক আবার পুরনো রূপে ফিরে যায়। ফলে সারা বছরই ভোগান্তি পোহাতে হয় স্থানীয়দের। অনিরাপদ সড়কে শুরু হয় মৃত্যুর মিছিল।
ভোগান্তি শুধু জাতীয় মহাসড়কেই নয়, আঞ্চলিক মহাসড়কেও। ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়কের সিলেট অংশে ব্যাপক ভাঙন না থাকলেও রয়েছে খানাখন্দ। যানবাহন দ্রুত চলাচলে খানাখন্দে ঘটছে দুর্ঘটনা। খানাখন্দ দেখে পাশ কাটাতে গিয়ে যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষও ঘটছে। আবার গর্তে গাড়ির চাকা আটকে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে যাত্রাপথ দীর্ঘ হয়ে বাড়ছে দুর্ভোগ।
চালকদের মতে, সময় বেধে যাত্রী নিয়ে রওনা হতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই গন্তব্যে পৌঁছার তাগিদ থাকে সব চালকেরই। তাতে বাধ সাধে সড়কের খানাখন্দ। একটু অসচেতন হয়ে গাড়ি চালালেই ঘটে দুর্ঘটনা।
সিলেটের সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সিলেটে সওজের ২৪৩ দশমিক ৬০ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় মহাসড়ক ১৩৯ দশমিক ২০ কিলোমিটার এবং আঞ্চলিক মহাসড়ক ১৬২ কিলোমিটার।
আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোও যেনো এক একটি মরণফাঁদ। বিশেষ করে সিলেট-জকিগঞ্জ, সিলেট-বিয়ানীবাজার, বড়লেখা, মৌলভীবাজার সড়কের অবস্থা খুবই করুণ। এক ঘণ্টার রাস্তা পেরোতে হয় তিন ঘণ্টায়।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক বলেন, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে মৌলভীবাজারের শেরপুরে আগে থেকেই ভাঙা শুরু। এরপর ঘোড়াশাল, ভৈরবের আগে থেকে ভাঙা সড়কে যানবাহন চালাতে হয় ধীরগতিতে। যে কারণে যাত্রীবাহী বাস গন্তব্যে পৌঁছাতে লাগে ৭/৮ ঘণ্টা। আর দ্রুত চালাতে গেলেই ঘটে দুর্ঘটনা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড