মির্জাপুর প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে পাঁচ পুরুষ প্রার্থীর সঙ্গে প্রথমবারের মতো ভোটে লড়ছেন এক নারী। তিনি প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল মনোনীত রূপা রায় চৌধুরী। বাঘ মার্কা নিয়ে এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রুপা। এ আসনে ভোটের মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মো. একাব্বর হোসেন, বিএনপির আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম জহির (লাঙ্গল), খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ মাওলানা মজিবর রহমান (দেয়াল ঘড়ি) ও ইসলামী আন্দোলনের শাহিনুর ইসলাম (হাতপাখা)।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে টাঙ্গাইল ৭ (মির্জাপুর) আসন গঠিত। এ আসনে ৩ লাখ ২২ হাজার ৬৭৩ জন ভোটার রয়েছেন। নারী ১ লাখ ৬২ হাজার ৭৯৫ জন এবং পুরুষ ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৮ জন। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৬০ হাজার ভোটার রয়েছে।
এদিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর পাশাপাশি রূপা রায় চৌধুরীও উপজেলার সর্বত্র পোস্টার সাঁটিয়েছেন। প্রচারের জন্য মাইকও ব্যবহার করছেন। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ভোট প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা বাড়ছে এ আসন ঘিরে। ২০০১, ২০০৮ সালের নির্বাচনে এখানে বিএনপির প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য মো. একাব্বর হোসেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে না আসায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একাব্বর হোসেন তৃতীয় বারের মতো এমপি হন।
অপরদিকে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে বিএনপি মরিয়া হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ আসনে বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তারাও ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীকে বিজয়ী করতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
রূপা রায়ের স্বামী চন্দন রায় চৌধুরী জানান, একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় দেড় লাখ লোকের বসবাস। এর মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার ভোটার রয়েছে। এ সম্প্রদায়ের কেউ কোনো জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হয়নি। আমার স্ত্রী রূপা রায় চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আশা করি সবাই রূপাকে বাঘ মার্কায় ভোট দিয়ে জয়ী করবেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড