পঞ্চগড় প্রতিনিধি
উত্তরের হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা যেন দিন দিন বেড়েই চলছে। কুয়াশায় ঢেকে যায় সারা এলাকা। গেল কয়েকদিন তাপমাত্রা যেখানে ১০ থেকে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। বিশেষত এই ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারি মাসের সময়টাতে উত্তরের হিম ঠান্ডার কারণে কাবু হয়ে যায় এই জনপদের মানুষ।
বর্তমানে দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মিললেও বিকাল থেকে শুরু হয় শীতের তীব্রতা। বিশেষ করে এই ঠান্ডার কারণে শিশুসহ বয়স্কদের সর্দি, জ্বরসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ জেলার মানুষদের ধারণা এবার শীতের ব্যাপ্তি অনেক বেশি হবে। আর তাই শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে জেলার মানুষ গরম কাপড় বের করতে শুরু করেছে। দিনশেষে সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত অনেককেই গরম কাপড় পরে থাকতে দেখা গেছে।
রফিকুল ইসলাম নামে এক রিকশাচালক দৈনিক অধিকারকে বলেন, কয়েকদিনের তুলনায় গেল দুদিন ধরে শীত একটু বেশিই মনে হচ্ছে। শীতরে কারণে সকাল ও সন্ধ্যায় রিকশা চালাতে একটু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. তৌহিদুল ইসলাম দৈনিক অধিকারকে বলেন, সোমবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়স। রবিবার (০৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বিকাল ৫টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ গোলাম আজম দৈনিক অধিকারকে বলেন, পঞ্চগড় জেলার অবস্থান দেশের সর্ব উত্তরে হওয়ায় এখানে শীতের তীব্রতা কিছুটা বেশি হওয়ায় ইতোমধ্যে আমরা ২২ হাজার কম্বল পেয়েছি। এরই মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে ৩৩৩টি করে কম্বল পাঠানো হয়েছে। তবে এবারের শীতকে মোকাবিলা করতে সরকারিভাবে ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। এ ছাড়া কম্বল ও শীতের অন্যান্য কাপড়ের চাহিদা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারের উচ্চপর্যায়ে দেওয়া আছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড