অধিকার ডেস্ক ১০ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:২৮
চট্টগ্রাম নগরীতে ভিক্ষুকের টাকাসহ প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে অরগানাইজেশন অব সোশ্যাল সার্ভিস অ্যান্ড এলিমিনেশন অব পোভার্টি (ওসেপ) নামে একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)। এ এনজিও সংস্থায় টাকা জমা দেওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই হচ্ছে রাস্তার টোকাই ও ভিক্ষুক।
এর বাইরে রয়েছে কিছু সংখ্যক গার্মেন্টসকর্মী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। জমা দেওয়া টাকা চার বছরেই দ্বিগুণ হবে এমন আশ্বাসে ওই অর্থ নেওয়া হয়েছিল বলে জানান ভুক্তভোগীরা। তবে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা এখন আর দ্বিগুণ চান না, মুল টাকাই ফেরত পেতে পুলিশের কাছেও অভিযোগ করেছেন ওসেপের নামে ওই বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানায়, ওসেপ নামে ওই বেসরকারি সংস্থার গ্রাহকের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ১০ হাজার। ওসেপ গ্রাহক থেকে তিন ধাপে টাকা নিত। প্রতিদিন ১০ টাকা বা আরও বেশি, সাপ্তাহিক ২০০ ও মাসিক ৬০০ টাকা। দৈনিক হিসাবে টাকা জমা রাখতেন ছয় হাজার টোকাই ও ভিক্ষুক। সাপ্তাহিক টাকা জমাদানকারী ৩ হাজার গার্মেন্টসকর্মী ও এক হাজার রাজমিস্ত্রিসহ নিম্নআয়ের মানুষ।
দেখা যায়, দৈনিক ১০ টাকা হিসাবে ৬ হাজার গ্রাহকের চার বছরে জমানো টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। সাপ্তাহিক ২০০ টাকা হিসাবে ৩ হাজার গ্রাহকের জমা হয় ১১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। মাসিক ৬০০ টাকা হিসাবে এক হাজার গ্রাহকের জমানো অর্থের পরিমাণ ২ কোটি ৮৮ লাখ। এভাবে ১০ হাজার গ্রাহক হিসাবে ওসেপ ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে।
ভুক্তভোগী রমেশ চন্দ্র দাশ জানান, গত ২ নভেম্বর ওসেপের ৯ কর্মকর্তাকে আসামি করে নগরীর খুলশী থানায় মামলা করেন তিনি। আসামিরা হলেন, মাঠকর্মী জাহানারা বেগম লাকি, ফাতেমা বেগম, টিটু কুমার ঘোষ, মো. ওয়াহেদ আলী, মহিদুল ইসলাম, পরিমল চন্দ্র দাশ, মো. হুমায়ন কবির ও বেলাল হোসেন। এর মধ্যে লাকি গ্রেপ্তার হলেও অন্যরা পলাতক।
খুলশী থানার ওসি শেখ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ওসেপ গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরার চেষ্টাও চলছে বলে জানান তিনি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড