পঞ্চগড় প্রতিনিধি ০৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:২৮
পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায়, বাড়ছে শীতের তীব্রতা। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে পঞ্চগড় সদরসহ উপজেলায় ঘন কুয়াশার কারণে কমে যাচ্ছে তাপমাত্রা।
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) ভোর থেকেই কুয়াশা পড়া শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণ ও বাড়তে থাকে। বাতাসের সেই হিম-ভাব শরীরে শীতের অনুভূতি তৈরি করছে। তবে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
জেলা সদরসহ উত্তরের সীমান্ত উপজেলা তেঁতুলিয়া ঘুরে দেখা যায়, পাহাড়ি হিমেল হাওয়ার কারণে দিনের শেষে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত গরম কাপড় ব্যবহার করছে স্থানীয়রা। ফুটপাতেও গরম কাপড়ের বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। শীতের কারণে রাতে কাঁথা-কম্বল ছাড়া ঘুমানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
তাহেরুল ইসলাম নামে এক পাথরশ্রমিক দৈনিক অধিকারকে বলেন, 'শীতের সকালে ঘুম থেকে ওঠে মহানন্দা নদীর ঠান্ডা পানিতে পাথর তুলতে প্রচণ্ড কষ্ট হয়। শীতের কারণে সকাল এবং বিকেলে পাথর তুলতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দিন দিন শীতের সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণও বাড়ছে'।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রহিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আগামী জানুয়ারিতে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসবে।
উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহুরুল ইসলাম দৈনিক অধিকারকে বলেন, শীতে বেশিরভাগ শিশু ও বয়স্করা সর্দি, জ্বরসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। তাই সুস্থ থাকার জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
ফোন: ০২-৯১১০৫৮৪
ই-মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৮-২০১৯
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড