• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

রাজশাহীর ফুটপাতে জমে উঠেছে নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের ঈদ বাজার   

  রাফিকুর রহমান লালু, রাজশাহী

৩০ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৪
ঈদ বাজার   

আর কিছুদিন পরেই আকাশে উঠবে ঈদের চাঁদ। ঈদ উৎসবের আগে তাই কেনাকাটার পরিকল্পনা নিয়ে বাজারমুখী মানুষের ঢল বাড়ছেই। কেনাকাটায় রাজশাহীর সব বাজারে এখন উৎসবের আমেজ। তবে এবার ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে পৃষ্ট নিম্ন-মধ্যবিত্তের মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ। তবে কিছুটা স্বস্থি এনে দিচ্ছে ফুটপাতের মার্কেট। নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের ঈদ বাজার এবার ফুটপাতেই জমেছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। যদিও বিগত বছর গুলোর তুলনায় ফুটপাতেও বেড়েছে পোশাকের দাম।

ঈদ উৎসবকে ঘিরে নগরীর ফুটপাত গুলোতে মানুষের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে নগরীর স্টেশন রোড, বিন্দুর মোড়, গনকপাড়া, জিরো পয়েন্ট, কোর্ট বাজার, বিনোদপুর এলাকার সড়কে ফুটপাতসহ রাস্তায় বসেছেন দোকানিরা। হাঁকডাক ও দরদামে ফুটপাতের কেনাবেচাও জমে উঠেছে। সেখানে নারীদের থ্রি পিস, ওড়না, শাড়ি, জুতা এবং ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট, লুঙ্গি, পাঞ্জাবিসহ বাচ্চাদের বাহারি পোশাকের সমাহার রয়েছে।

ক্রেতারা বলছেন, এবার পোশাকের দাম ‘আগুন’ বললেও ভুল হবে না। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেশি। বাড়ি থেকে পরিবারের সবার জন্য বাজার করার পরিকল্পনা নিয়ে বাজারে আসলেও তা সম্ভব হচ্ছে না। ফুটপাতেও অনেক দোকানি একদাম বলে আর কমাচ্ছে না। আর ফুটপাতের বাইরে মোটামুটি কোয়ালিটির দোকানে গেলে পোশাক দেখে দাম শুনে আবারো ফুটপাতেই আসতে হচ্ছে।

নগরীর গণকপাড়া এলাকায় ননদকে সঙ্গে নিয়ে ফুটপাতে বাজার করছিলেন আসমা বেগম। তিনি বলেন, আমি বিসিকের একটি কারখানায় কাজ করি। মাসে ৮ হাজার টাকা বেতন পাই। ওভার টাইমসহ ১০ হাজার টাকা তুলতে পারি। এবার বেতনের ২৫ শতাংশ এবার বোনাস দেবে বলে শুনেছি। এখনো পায়নি। এই চড়া বাজারে এ সামান্য আয় দিয়ে পরিবারের ৫ সদস্যের ঈদ বাজার পছন্দ মতো করা সম্ভব হচ্ছে না। সাধ থাকলেও সাধ্য নেই। স্কুল পড়ুয়া ছেলের দাবি তাকে বাজারে নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু নিয়ে আসতে পারিনি। এক রকম লুকোচুরি করে কিছু কমে পোশাক কিনতে এসেছি। না হলে ঋণ করা ছাড়া উপায় থাকবে না।

এদিকে, স্কুল পড়ুয়া এক বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে ফুটপাতে পোশাক দেখছিলেন রাফি-তাসফিয়া দম্পতি। তারা জানান, তারা আগে ছেলের বাজার করতে এসেছেন। আরডিএ মার্কেটের দুটি দোকান ঘুরে দাম শুনে গণকপাড়ার ফুটপাতে আসতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু এখানেও পোশাকের দাম বেশি। এখন দরদাম করে ছেলের বাজার করা হলে অবশিষ্ট যা থাকবে তা দিয়েই চালিয়ে নিতে হবে।

বিক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য সময়ের চেয়ে ফুটপাতে মানুষের আগমন কিছুটা বেশি। এবার ফুটপাতের দোকানের সংখ্যা বেশি। প্রথমে ভেবেছিলেন, এবার ব্যবসা কম হবে। তবে বেচাবিক্রি জমে উঠেছে। আর ফুটপাত আছে বলেই নিম্ন-মদ্যবিত্ত মানুষের ঈদ মোটামুটি ভালোই কাটে। তবে এবার বিগত বছরের চেয়ে প্রত্যেকটা পোশাকের দাম দু’পঞ্চাশ টাকা বেড়েছে।

ফুটপাত ব্যবসায়ী শাকিল খান জানান, তার এখানে ১০০ টাকা থেকে শুরু করে অনেক দামের পোশাকই আছে। আর বেচাবিক্রি ভালোই হচ্ছে। আর ফুটপাত না থাকলে তো নিম্ন-মধ্যবিত্তরা পোশাকই কিনতে পারবে না।

আরেক ব্যবসায়ী মিলন ইসলাম বলেন, মূলত সন্ধ্যার পর দম ফেলার সময় থাকছে না। আর প্রত্যেকটি মালে দু’পঞ্চাশ টাকা বেশি দিয়ে তারাই কিনেছেন। সে অনুযায়ী পোশাক বিক্রি করা হচ্ছে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড