আবুল মনছুর, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল থানার দক্ষিণ পূর্বে পাশে অবস্থিত আলি মার্কেটে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
গত বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে ঘটিত অগ্নিকাণ্ডে চারটি ক্রোকারিজ ও কুটির শিল্পের মালামালের গুদাম, একটি অফিস কক্ষ ও একটি বসতঘরের মালামাল পুড়ে গেছে। এতে ২০ লাখ টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থরা। তবে আগুনের সূত্রপাত জানা যায়নি। তদন্ত করে নির্ণয় করা হবে বলে জানান হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার সরেজমিন দেখা যায় মার্কেটের পূর্ব পাশে মফিজ সওদাগরের মালামাল ভর্তি দুটি গুদাম যার একটি সম্পূর্ণ ও একটি আংশিক পুড়ে গেছে। পুড়েছে মার্কেটের মালিকের টিনসেডের একটি বসতঘর। কিন্ত পূর্ব পাশে আনুমানিক ১০০ ফুটের পর বাকি কয়েকটি গুদাম, অফিস পুড়লেও মাঝের ১০০ ফুটের স্থান যেখানে পড়ে আছে খালি ড্রাম, গ্যালন এবং মার্কেটের বিশালাকার জেনারেটর ঘর। এখানেই রহস্যটি ফুটে উঠেছে। সবার মতামত আগুন পূর্ব কিংবা পশ্চিম দিক যেদিক দিয়েই লাগুকনা কেন একাধারে জলবে। বিশাল ব্যবধানে মাঝে অক্ষত কেন। নিশ্চয় কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
জানতে চাইলে, ক্ষতিগ্রস্থ সালাম ক্রোকারিজের মালিক ওসমান, ভাই ভাই কুটির শিল্পের দুই সহোদর মফিজ ও ছৈয়দ। একই সুরে কথা বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ মফিজের গুদাম লাগোয়া মেসার্স নিউ নুর সাইকেল এন্ড মেট্রোস হাউসের গুদামের মালিক মোঃ শফি ও বসতঘরের মালিক মোঃ রোকন। তারা বলেন, ভোর সাড়ে তিনটার পর পরই খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন। এসেই দেখতে পান পূর্ব দিকে গুদাম, বসতঘর আবার পশ্চিম অংশের দুটি গুদাম ও বাবলি ক্যাবল নেটওয়ার্ক অফিসে আগুন জ্বলছে। তবে ওই মুহুর্তে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন পাশে ছিল মডেল থানার পুশিশ।
জানা গেছে, ভাই ভাই কুটির শিল্প দোকানের ২০ লাখ টাকার ব্যাংক ঋণ রয়েছে। দুটি ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের চার ও পাঁচ কিস্তি পরিশোধ করেছেন। তিন সহোদর মিলে দুটি দোকান পরিচালনা করেন। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এক ভাই মোঃ ছৈয়দ বলেন, রাত বারোটার পর তারা দোকান থেকে বাড়ি ফিরেছেন। কাটিরহাট শাহজাহান শাহ (রহঃ) ওরশ উপলক্ষে মেলায় দেয়ায় দোকানের জন্য মালামাল রেডি করছিলেন। ভোর তিনটা ৩৭ মিনিটে এক ব্যবসায়ীর ফোন পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাদের প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে বলেন, জানিনা ব্যাংকের ঋণ কিভাবে পরিশোধ করব। থানায় কোন অভিযোগের বিষয়ে কিছু না বললেও আরেক সহোদর মোঃ মফিজ বলেন, অভিযোগ মামলা কিছুই করবেন না। কারা করেছে কেন করেছে তা আল্লাহই জানেন। বিচার তার কাছেই দিলাম। কারো সাথে কোন দ্বন্দ আছে কিনা জানতে চাইলে বসতঘরের মালিক মোঃ রোকন না বলে জানান।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসছেন অনেকে। অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় সবার একই মতামত এটা রহস্যজনক। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে এর কারণ নির্ণয় করা উচিত। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস বলেন, ঘটনার কারণ ক্ষতির পরিমান তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড