নাজির আহমেদ আল-আমিন, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ঐতিহ্যবাহী নৈশ্য মৎস্য আড়তের মাছ ব্যবসায়ী আহাম্মদ মিয়া চেক প্রতারণা মামলায় এখন জেলা কারাগারে। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মোমেন মিয়ার একটি মামলায় কিশোরগাঞ্জ আদালতের বিচারক তাকে জামিন না দিয়ে(৫ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার বিকেলে কারাগারে পাঠিয়েছে। বিষয়টি তার আইনজীবি এড, রাসেল আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
জানাযায়, গত তিন বছর আগে পৌর ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোমেন মিয়ার সাথে তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা নিয়ে মাছ ব্যবসায়ী আহাম্মদ মিয়ার একটি অংশীদারত্ব চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী আহাম্মদ মিয়া কাজ করার জন্য ১২ লাখ টাকা দেয়। জামানত হিসেবে মোমেন মিয়া ব্যাংকের একটি খালি ( টাকার অংক না লিখে) চেক দেন আহাম্মদ মিয়াকে। এই অনুযায়ী ৩০০ টাকার স্টাম্পে চেকের নাম্বার লিখে একটি চুক্তি হয় দুজনের মধ্য। পরবর্তীতে কাজ শেষ হলে মোমেন মিয়া লাভ্যংশসহ আহাম্মদকে টাকা ফেরত দিয়ে দেন। এরপর লাভের টাকা আরও বেশী পাবে বলে দাবি করে আহাম্মদ মিয়া খালি চেকে ৪০ লাখ টাকা লিখে কিশোরগঞ্জ আদালতে মোমেন মিয়া বিরুদ্ধে চেক ডিজনার মামলা করেন।
তারপর মোমেন মিয়া চেক ডিজনার মামলাটি চ্যালেঞ্চ করে আহাম্মদ মিয়ার বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ আমলী আদালত -১ এ একটি মামলা করলে বিচারক মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। দীর্ঘ কয়েকমাস তদন্ত করে পিবিআই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।
পরে গেল বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদনের শুনানী হয় আদালতে। এসময় আহাম্মদ মিয়ার আইনজীবি তার জামিনের আবেদন করেন। শুনানী শেষে প্রতারণার বিষয়টি সত্যতা পাওয়াই বিচারক তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
বাদী মোমেন মিয়া অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আহাম্মদ মিয়া আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমি তার কাছ থেকে কখনই ৪০ লাখ টাকা নেয়নি। কাজের পাটনার হিসেবে তার দেয়া টাকার বিশ্বাসের জন্য একটি ব্যাংকের ব্লাংক চেক জামানত হিসেবে দিয়েছিলাম যা ৩০০ টাকার স্টাম্পে লেখা আছে। তার পুরা টাকা লাভসহ আমি ফেরত দিয়েছি। টাকা পেয়েও আহাম্মদ মিয়া ৪০ টাকা আমার কাছে পাবে দাবী করে আমার বিরুদ্ধে চেকের এনায়েক্ট ধারায় মামলা করে। পরে আমি চ্যালেঞ্চ করে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে পিবিআইয়ের তদন্তে ঘটনাটি প্রমাণ হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে এবিষয়ে আদালতে শুনানী হলে তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠায় আদালত।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড