• রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বোনের নামে বদনাম, গাঁজা সেবনের কথা বলে ডেকে এনে বন্ধুকে খুন

  মোঃ রেজোয়ান ইসলাম, নীলফামারী

০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৯:৩৮
গাঁজা

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বোনের নামে বদনাম রটানো ও বন্ধুর বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার ক্ষোভে মাদক সেবনের প্রলোভনে দেখিয়ে ডেকে এনে মোঃ মোরর্শেদ (৩৩) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় রহস্য উন্মোচন করে আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত মোঃ মশিউর রহমান ওরফে মোর্শেদুল (৩৩) কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর দুরাকুটি বাসোপাড়ার একরামুল হকের ছেলে। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ।

আজ সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ওই তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার গোলাম সবুর পিপিএম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার উত্তর দুরাকুটি এলাকার বাসোপাড়ার মোঃ সাইফুল ইসলামের ছেলে মোঃ ইব্রাহীম ইসলাম (১৯), একই এলাকার মোঃ মামুদ আলীর ছেলে মোঃ আনারুল ইসলাম (৩০), নুরুজ্জামানের ছেলে মোঃ সেলিম মিয়া (২৭)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, হত্যার শিকার মোর্শেদুল ও আসামীরা গাজাসেবী ছিল। তারা একসাথে বন্ধুর মত গাজা সেবন করতো। তাদের মধ্যে টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধ ছিল। হত্যার শিকার মোর্শেদুল আসামী ইব্রাহিমের বোন পালিয়ে বিয়ে করেছে বলে মিথ্যা তথ্য রটিয়ে বেড়ায় এবং আসামী সেলিমের ঠিক হয়ে থাকা বিয়ে ভেঙ্গে দেয়। এছাড়া অন্যান্য আসামীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফেরৎ না দেওয়ায় মোর্শেদুলকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে আসামীরা। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৪ আগস্ট রাতে আসামী ইব্রাহিম গাজা কিনে এবং তা সেবন করার জন্য ফোন দিয়ে মোর্শেদুলকে ডেকে নিয়ে আসে। পরিকল্পনা মোতাবেক মোর্শেদুলকে গাজা সেবনের স্থানে নিয়ে এসে তার উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমন করে তাকে হত্যা করে আসামীরা এবং পড়নের পরিধানকৃত কাপড় দিয়ে বস্তার মত করে বেঁধে ওই এলাকার দুরাকাটি সংলগ্ন ধাইজান নদী খননের বালুর স্তুপে পুতে রাখে।

পুলিশ সুপার গোলাম সবুর বলেন, মৃত্যুর তিনদিন পর অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর লাশ শনাক্ত না হওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। এরপর বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে নিহত ব্যক্তি মোর্শেদুল বলে ধারনা করে পরিবার। এরপর থেকে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ধরতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার পল্লবী থানা এলাকা থেকে বাদশা আলমগীর ও ২৪ সেপ্টেম্বর ইব্রাহিমকে, ২৭ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়ি সেলিম ও আনারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ইব্রাহিম, সেলিম ও আনারুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ধারায় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) মোহাম্মদ সারোআর আলম, সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রাজীব কুমার রায়, নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম, নীলফামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি তাহমিন হক ববী, সাধারণ সম্পাদক হাসান রাব্বী প্রধানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড