শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম):
বাঁশখালী প্রধানসড়ক একটি ব্যস্ততম সড়ক। চট্টগ্রাম শহর থেকে আনোয়ারা-বাঁশখালী, চকরিয়া-পেকুয়া, মগনামা-মহেশখালী, কুতুবদিয়া-কক্সবাজার সংযোগ আঞ্চলিক মহাসড়কটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে ঢাকাগামী সৌদিয়া, এসআলম বাস চলাচল করে। তাছাড়া অভ্যন্তরিণ যোগাযোগের যানবাহন বাস, সিএনজি, ট্রাক-ডাম্পার, মালবাহী কার্গো সার্ভিস চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। একদিকে অপ্রসস্থ ও সরু সড়ক অপরদিকে সড়কের ফুটপাত অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে। যার ফলশ্রুতিতে নিত্য যানযট লেগে থাকে। ঘটে যায় সড়ক দুর্ঘটনা।
বাঁশখালীর প্রবেশদ্বার পুকুরিয়ার চাঁদপুর থেকে শুরু করে গুনাগরী চৌমুহনী বাজার, বৈলছড়ী কে.বি বাজার, জলদী মিয়ার বাজার, শীলকূপ টাইম বাজার, চাম্বল বাজার, নাপোড়া বাজারসহ প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্পটে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে প্রতিনিয়ত। খোদ প্রধানসড়কের ফুটপাত দখল করে বসে স্থানীয় বাজারগুলো। তাছাড়া, ফুটপাতের জায়গা দখল করে বিভিন্ন দোকানের অংশ বর্ধিত করেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে পথচারীদের চলাচলের জায়গায় দোকানের মালামাল রেখে দখল করে রেখেছেন।
অপরদিকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ওই সড়কটির বিভিন্নস্থানে সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা দাড় করে যাত্রী ওঠা-নামা, অঘোষিতভাবে সড়ক দখল করে যত্রতত্র বাসস্টেশন করার ফলে দেখা যায় দীর্ঘ যানজট। একদিকে ফুটপাতের জায়গা দখল অপরদিকে গাড়ির অবাধ পার্কিং, এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। ফলে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। পথচারীদের অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে প্রধানসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গেলে ফুটপাত দখল ও অবাধ পাকিংয়ের সত্যতা পাওয়া যায়। এ সময় দেখা যায় পথচারীদের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত সড়কের দু'পাশের ফুটপাথ দখল করে বিভিন্ন দোকানের পণ্য রাখা হয়েছে। এতে বাধ্য হয়ে পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটপাত ছেড়ে সড়কটি ব্যবহার করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে প্রধান সড়কের উপর অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে বাসস্টেশন। বিষয়টি বারবার প্রশাসনের নজরে আনা হলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। সড়কের পুরো ফুটপাথ দখল করে দোকানদারা ব্যবসা পেতে বসেছে। এসব জায়গায় সড়কের ওপর বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী রেখে চলছে বেচাকেনা। মাঝে মাঝে বাজারের মধ্যে ট্রাক রেখে খালাস করা হচ্ছে মালামাল। ফুটপাথে হাঁটতে পারছেন না পথচারীরা। বিভিন্ন সময় ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। অঙ্গহানিসহ প্রাণ হারিয়েছে অনেকেই। স্থানীয়রা জানিয়েছেন প্রশাসন যদি ফুটপাথ দখলের বিষয়টি আমলে নিয়ে মাঠ পর্যায়ে ভূমিকা পালন করেন তাহলে খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে। যানযটমুক্ত হবে প্রধানসড়ক।
গুনাগরি বাজারে আসা মো. মামুনর রশিদ বলেন, ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করায় পথচারীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ফুটপাত দখল করায় সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। একদিকে সড়কে থাকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা। তারাও জটলা করে থাকে। এখন বাজারের প্রধান সড়কটি দিয়ে চলাচল করাটা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চাম্বল বাজারের আরেকজন মো. রিদুয়ানুল হক বলেন, ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পেতেছেন ব্যবসায়ীরা। আর বাজারের সড়কটিতে দেখা যায় যেখানে সেখানে গাড়ি দাড়িয়ে থাকতে। একটা দিনও যানযট ছাড়া দেখা যায় না। আর সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ছে স্কুল-মাদরাসা গামী ছোট শিশু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার বলেন, জনস্বার্থে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা হবে এবং প্রয়োজনে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড