• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে চলছিল কমিউনিটি ক্লিনিক নিমার্ণ, বন্ধ করে দিল এলাকাবাসী

  নেহাল আহম্মেদ প্রান্ত, আদমদীঘি (বগুড়া):

১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:৪৯
কমিউনিটি ক্লিনিক

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির কোমারপুর কমিউনিটি ক্লিনিক নিমার্ণে নিন্মমানের ইট ও সিমেন্ট ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে দেওয়ান মামুনুর রশিদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এছাড়া কাজে অনিয়ম করার অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে। নিন্মমানের উপকরণ ও কাজে অনিয়ম করায় ক্ষুব্ধ হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয়রা। ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকটি নির্মাণ করছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। আর কাজটি করছিল ঠিকাদার দেওয়ান মামুন।

স্থানীয়রা জানান, কোমারপুর কমিউনিটি ক্লিনিকটির পুরনো ভবন ভেঙে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। কাজ শুরুর প্রথম দিকে ভালো মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করলেও পরবর্তী সময় থেকে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করছিল ঠিকাদার। সেখানে এক নাম্বার ইটের পরিবর্তে ব্যবহার করছে তিন নাম্বার ইট ও নিন্মমানের সিমেন্ট। এছাড়া নিমার্ণাধীন ক্লিনিকের মেঝে ঢালাইয়ে খোয়া ব্যবহার ছাড়াই বালু ও পরিমানের চেয়ে কম সিমেন্টের সংমিশ্রন ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে এই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। ফলে বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয়রা।

কোমারপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের দাতা সদস্য আকবর হোসেন বলেন, সিডিউল মোতাবেক যেভাবে কাজ করার কথা ছিল সেভাবে কাজ করা হয়নি। এক নাম্বার ইট দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও তারা তিন নাম্বার ইট ব্যবহার করে কাজ করছে। এছাড়া ক্লিনিকের তিন দিকে তিনটি সিঁড়ি করার কথা থাকলেও তা এক দিকে করেছে। মেঝে ঢালাইও করেছে ইটের খোঁয়া ছাড়া।

একই ধরনের অভিযোগ করে ওই ক্লিনিকের সি এইচ ই পি বিমল কুমার বলেন, প্রথমে ভালো ইট দিয়ে কাজ চল্লেও পরে খারাপ ইট দিয়ে তারা কাজ করছিল। এলাকাবাসী বাধা দেওয়ায় তারা কাজ বন্ধ রাখে। পরে এলাকাবাসীর অনুপস্থিতিতে তিন নাম্বার ইট ব্যবহার করেই তারা কাজ চালিয়ে যায়।

কোমাপুরের সাবেক ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ মন্ডল বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করছিল ঠিকাদার। তাকে ভালো মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কথা বল্লেও তিনি তা করেননি। সর্বশেষ মেঝে ঢালাই কাজে ইটের খোয়া ব্যবহার না করে সরাসরি বালুর উপরে ঢালাই দেওয়াই এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে বাধা দিলে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।

এ বিষয়ে ঠিকাদার দেওয়ান মামুন বলেন, এলাকাবাসী কাজটা বন্ধ করেনি। কাজটা আমরা নিজেই বন্ধ করেছি। ইট ভাটা থেকেই খারাপ ইট দেওয়ার কারণে কাজ আপাতত বন্ধ আছে। কিছুদিনের মধ্যেই ভালো মানের ইট দিয়ে আবার কাজ শুরু হবে। মেঝে ঢালাইয়ে অনিয়ম ও নিন্মমানের ইট দিয়ে কেন কাজ করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে খারাপ কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার পরিদর্শন করেছে। তাই কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি।

বগুড়া স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবো।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড