নাজির আহমেদ আল-আমিন, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ৭৫ লাখ টাকার ভারতীয় কিটক্যাট চকলেট ও প্রসাধনী সামগ্রী চোরাচালানের সময় দুই চোরা কারবারিকে আটক করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুর্জয় মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ট্রাকভর্তি ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রীসহ দুজনকে আটক করা হয়।
আটক চোরা কারবারিরা হলেন- সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা থানার ধরাধরপুর এলাকার আঙ্গুর মিয়ার ছেলে মো. ফজলু মিয়া (২৬) ও সুনামগঞ্জ জেলার সদর থানার ওয়েজখালী এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. মামুন মিয়া (১৯)।
র্যাব ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুর্জয় মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনক একটি ট্রাকে তল্লাশি করে ৮০ হাজার ৬০০ পিস কিটক্যাট চকলেট, এক হাজার ৪৪ পিস ভাটিকা হেয়ার ওয়েল, এক হাজার ৪৪ পিস ডাবর টুথপেস্ট, ৪৪৬ পিস জুনিয়র হরলিক্স, এক হাজার ৬২০ পিস ফিয়ামা সাবান, ৩৬০ পিস অলিভ ওয়েল, ৪৮ পিস পন্ডস বিউটি ক্রিম, ৬০ পিস জনসন বেবি হেয়ার অয়েল, ৭২০ পিস জনসন বেবি শ্যাম্পু, চার হাজার ৩২০ পিস নবরত্ন হেয়ার অয়েল, ৯৬০ পিস ডাবর আমলা হেয়ার অয়েল, ১৩ হাজার ৬৩২ পিস ডাভ সাবান, ৫২৮ পিস সেভেন হেয়ার অয়েল, ৫২৮ পিস বোরো প্লাস ক্রিম, ৬০ পিস নবরত্ন হেয়ার অয়েল, ১১ হাজার ৫২০ পিস কাবেরী মেহেদী, ১১ হাজার ৫২০ পিস মিনিপ্যাক শ্যাম্পু, ৭৫০ পিস এলোভেরা জেলসহ ভারতীয় প্রসাধনী ও একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৭৫ লাখ টাকা।
ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার মোহাম্মদ আক্কাছ আলী এক প্রেস বিফিংয়ে বলেছেন, এসব পণ্য চোরাচারালানের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে রাজধানীতে নিয়ে যাওয়ার পথে আমরা অভিযান চালিয়ে দু’জনসহ আটক করি।
এই চক্রটি আগেও আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভারতীয় প্রসাধনী ও চকলেট চোরাচারালানের মাধ্যমে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেছে বলে স্বীকার করেছে। আটকদের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড