• শনিবার, ০১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অধিকারে সংবাদ প্রকাশের পর সরকারি অফিস দখলমুক্ত

  শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৩০
অধিকারে সংবাদ প্রকাশের পর সরকারি অফিস দখলমুক্ত

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে "সরকারি অফিস ব্যবহার করে জমজমাট ব্যবসা, সাগর দাশের খুঁটির জোর কোথায়" শিরোনামে দৈনিক অধিকার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের একদিন পর অবশেষে সরকারি অফিস দখলমুক্ত হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র মতে '২০১০ সালের দিকে তৎকালীন শিক্ষা অফিসার দেবাশীষ বিশ্বাস কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে এক বছরের জন্য অস্থায়ীভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেন। মেয়াদ শেষ হয়ে একযুগ অতিবাহিত হলেও তিনি সরকারি অফিসের কক্ষ ও সরকারি ডেস্কটপ ব্যবহার করে ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলে লিপ্ত রয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার অফিস ছেড়ে দিতে বললেও অফিস ছাড়েননি তিনি।'

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সাগরের কক্ষে প্রধান শিক্ষকের জটলা। তাদের হাতে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির প্রিন্টেড কপি। এসব কপি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকার বিনিময়ে করছেন তিনি। সরকার প্রতিটি বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও প্রিন্টার সরবরাহ করলেও কেন আপনারা বাইরে কাজ করছেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রধান শিক্ষক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। উপবৃত্তি এন্ট্রি, ই-প্রাইমারি সিস্টেমে শিক্ষক তথ্য হালনাগাদসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাইরে না করার নির্দেশনা থাকলেও অনেক শিক্ষক তা মানছেনই না।

শিক্ষকরা নিয়মিত এসব কাজ সাগরের মাধ্যমে করাচ্ছেন। এতে বিদ্যালয়ের পাসওয়ার্ড বেহাত ও শিক্ষকের কাছ থেকে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর, শনিবার "সরকারি অফিস ব্যবহার করে জমজমাট ব্যবসা, সাগর দাশের খুঁটির জোর কোথায়" শিরোনামে সংবাদটি দৈনিক অধিকারে প্রকাশিত হলে পরদিন রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর জেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক পরিদর্শনে এসে কড়াভাবে একদিনের মধ্যে সাগর দাশকে অফিস ছেড়ে দিতে বলে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের কথা বলেন তিনি। পরবর্তী খোঁজ নিয়ে জানা যায় সাগর দাশ আর অফিসে আসেনি। অফিসটি তলাবদ্ধ অবস্থায় আছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আবু সুফিয়ান বলেন, গত রবিবার ৩ সেপ্টেম্বর উপজেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃক আয়োজিত মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় আসেন জেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক। এ সময় বাঁশখালী শিক্ষা অফিস পরিদর্শনকালে সাগর দাশের বিষয়টি নজরে পড়ে তার। তিনি তাকে একদিনের মধ্যে সরকারি অফিস কক্ষটি ছেড়ে দিতে বলেন। এরপর থেকে সাগর দাশ আর অফিসে আসেনি বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, তৎকালীন কয়েকজন শিক্ষা অফিসারের যোগসাজশে তিনি দীর্ঘ একযুগ ধরে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তৎকালীন শিক্ষা অফিসাররা তার মাসিক বেতন ভাতা বাবদ সমুদয় অর্থ ১৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে প্রদান করতে বাধ্য করেন। এতে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বর্তমান শিক্ষা অফিসার তা বন্ধ করে দেন।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড