• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সান্তাহার জংশন প্লাটফর্মে সন্দেহজনক গতিবিধি

চারজনকে আটকের পর যুবককে বলি দিয়ে তিনজনের মুক্তি

  নেহাল আহম্মেদ প্রান্ত, আদমদীঘি (বগুড়া)

০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৭
চারজনকে আটকের পর যুবককে বলি দিয়ে তিনজনের মুক্তি
গ্রেফতারকৃত আসামি (ছবি : অধিকার)

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার রেলওয়ে জংশনের প্লাটফর্ম থেকে চারজনকে আটকের পর রেদোয়ান (২১) নামে এক যুবক ও তার সঙ্গে থাকা দুই মেয়েকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওসি মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে।

নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে সন্দেহজনক দুইজন মেয়ে ও দুইজন ছেলেকে হেফাজতে নেওয়ার পর তিনজনকে ছেড়ে দিয়ে পাইলট রায় (৩৬) নামে এক যুবলীগ নেতাকে আটক করে। আটক পাইলট নওগাঁ সদর উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ও নওগাঁ জেলার পার-নওগাঁ নামক এলাকার সুকুমার রায়ের ছেলে। কারো কোনো অভিযোগ না থাকার পরেও তাকে মামলা দিয়ে রবিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ।

এর আগে সান্তাহার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জংশন এলাকা থেকে সন্দেহজনক ভাবে ওই দুইজন মেয়ে ও দুইজন ছেলেকে আটক করে রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করে। বিষয়টি জানাজানি হলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে ওসির ভূমিকা নিয়ে। এ দিকে ওসি মোক্তার হোসেন মানবিক দিক বিবেচনা করে ছেড়ে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।

জানা যায়, শনিবার রাত দিবাগত রাত ১টায় সান্তাহার জংশন স্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্মের দক্ষিণে পাইলট রায় ও তার বন্ধু রেদোয়ান এইচএসসি পরীক্ষার্থী এক গৃহবধূ ও তার বান্ধবীর সাথে আলাপ করছিল। এ সময় তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল সদস্যরা তাদের আটক করেন। পরে তাদের রেলওয়ে থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোপর্দ করেন। পরে রেলওয়ে থানার ওসি দুই মেয়েকে মুচলেকায় তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়। পাশাপাশি রেদোয়ানকেও ছেড়ে দেয় পুলিশ। আর অদৃশ্য কারণে রেদোয়ানকে ছেড়ে দিয়ে পাইলটকে আটক দেখানো হয়। পরবর্তীকালে পাইলটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করে। শুধু তাই নয়, কারো কোনো অভিযোগ না থাকার পরও শুধুমাত্র পাইলটের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ায় ওসির ভূমিকা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন।

এ দিকে পাইলটের আটকের বিষয়টি নিয়েও তালবাহানা করতে থাকে থানা পুলিশ। গণমাধ্যমকর্মীদের পিড়াপিড়িতে আর গোপন রাখতে পারেনি তারা।

সান্তাহার রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিদর্শক নূরে নবী দুই মেয়ে ও দুই ছেলেসহ চারজনকে আটকের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার নিরাপত্তা টহল সদস্যরা তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় আটক করে। পরবর্তীকালে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদেরকে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়।

সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মোক্তার হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের প্রথমে ৩ জনকে আটকের তথ্য দিলেও পরবর্তীকালে ৪ জনকে আটকের কথা স্বীকার করে বলেন, তাদের সাথে রেদোয়ানও ছিল। রেদোয়ান জড়িত না বলে তিনি বলেন, সে পরে পাইলটসহ দুই মেয়ের সাথে যোগ হয়েছে। আর রেদোয়ান স্থানীয় একজনের ভাই হয়। তাছাড়া সে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ও ওই দুই মেয়েও পড়াশোনা করে। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর পাইলট রায়ের বিরুদ্ধে ১৫১ ধারায় মামলা দিয়ে রবিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড