• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আব্দুল আলমের নির্যাতনের শিকার হালিমাসহ এলাকাবাসী

জাল-জালিয়াতি করে ৪০ বছরের বসত ভিটা কেড়ে নিতে চায় আলম

  এম কামাল উদ্দিন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার (রাঙামাটি)

২৩ আগস্ট ২০২৩, ১৭:৪৬
জাল-জালিয়াতি করে ৪০ বছরের বসত ভিটা কেড়ে নিতে চায় আলম

রাঙামাটি শহরের ভেদভেদিস্থ (কাস্টম অফিস সংলগ্ন) ব্রিজের নিচে মোঃ আব্দুল আলমের দ্ধারা হয়রানি নির্যাতনের শিকার হালিমা বেগমসহ এলাকার বেশকিছু ভুক্তভোগি মানুষ।বৃদ্ধা হালিমা বেগমের বিগত ৪০বছরের বসতভিটায় জোরপূর্বক সবতঘর নির্মাণ করেছে আব্দুল আলম।এমন অভিযোগ করেছেন বৃদ্ধা হালিমা বেগমসহ ভুক্তভোগি অনেকে।

স্বাক্ষী প্রমানসহ খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত মোঃ আব্দুল আলম হালিমা বেগমের ছেলের সাথে ২০১৫ সালের পরিচয়ে তার ঘরে আসতেন। এভাবে ১দিন ২দিন আসা যাওয়া করতে করতে এক সময়ে হালিমা বেগমের পরিবারের সাথে চরম ঘনিষ্টতা হয়ে যায়।

এক সময় দেখা গেছে- হালিমা বেগমের ছেলে প্রবাসে পাড়ি জমায়,তখন বৃদ্ধা হালিমা বেগমকে দেখে শুনে রাখতে তার প্রবাসী ছেলে আলমে দায়িত্ব দিয়ে বিদেশে চলে যায়।

এভাবে চলতে চলতে এক সময় বৃদ্ধাকে মা বানালেন আলম। আপন মায়ের মত হালিমাকে মানসম্মান ও দেখা শুনা করে আলম। সম্পর্ক গড়ে ওঠে মা ছেলের। কিন্তু তলে তলে আলম বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বৃদ্ধা হালিমার কাছ থেকে প্রথমে ৫টি খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। ফের ৩টি খালি স্ট্যাম্পে ও স্বাক্ষর করে নেয়।

এক সময় এসব খালি স্ট্যাম্পের কথা আলমকে জিজ্ঞাসা করে হালিমা। তখন আলম প্রতি উত্তরে হালিমাকে বলে এসব স্ট্যাম্প জেলা পরিষদ ও বাজার ফান্ড কার্যালয়ে দিতে হবে। এই বিশ্বাসে আলমে আর তেমন কিছুই বলে না হালিমা।

এত দিন পর হালিমার বসতভিটায় ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে আলমের জাল-জালিয়াতি ও দুর্নীতির খতিয়ান বের হয়ে আসে।

আলম জাল-জালিয়াতি করে হালিমার বসতভিটার জমি আত্নসাৎ, অবৈধ ঘর নির্মাণ, হালিমার ছেলে বিদেশ যাওয়ার সময় ৫ লক্ষ টাকা দার দিয়েছে বলে ভুয়া দলিল করে। এখন সে অনেক বড় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে উল্টো মামলা হামলার হুমকি দিচ্ছে হালিমাসহ তার ছেলেদের।

এছাড়াও এলাকায় কাউকে মানে না আলম। মনে হয় সে কারও না কারও আশ্রয় বা সেল্টারে শক্তি প্রয়োগ করতে চায়। তবে এলাকাবাসী তার খুঁটির জোর কোথায় তা দেখতে চায়। সে এলাকার অনেকের গায়ে হাত তুলেছে।এলাকায় আলম চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছে যদি কেউ কিছু করতে পারে তাহলে তার জ্বিবা সে কেটে ফেলবে।এত বড় দুসাহস পেল কোথায় সে!

অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগি হালিমা বেগম বলেন, এই আলমকে আমি নিজের ছেলের মত জানতাম।এভাবে যে সে আমাকে শাররিক মানসিক নির্যাতন দিবে সেটা আমি কখনো কল্পনা ও করিনি। আলম আমার কাছ থেকে ৮টি খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে। এখন ওই সব স্ট্যাম্প দিয়ে জাল-জালিয়াতি করছে। আলম বিভিন্ন সময়ে অন্যায় ভাবে আমার গায়ে হাত তুলেছে।

তিনি আরও বলেন, কারণ একটাই আমি তাকে জায়গা দিয়ে দিতাম। আমার ২ ছেলে প্রবাসে থাকে। জমি আলমের আয়ত্ত্বে নিতে আমার ছেলেদের বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা দায়ের করেছে। থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে হয়রানি করছে। সে আমার ৪০ বছরের বসতভিটায় জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করেছে।এখন আমি মিডিয়ার মাধ্যমে আমার বসতভিটা ফিরে পেতে আইনী সহায়তা চাইতেছি। সাথে সাথে আমার কাছ থেকে যে খালি ৮টি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে তা ফেরৎ চাই।

ভুক্তভোগি জাহানারা বেগম বলেন, আলম আমাকে মারধর করেছে।তার চরিত্র খারাপ ও লোভি মানুষ সে।এলাকায় মানুষের সাথে প্রতারনা করে এবং তার স্বভাব চরিত্র তেমন ভাল না।সে একজন নারী লোভি ও বটে। আমার প্রতি সে কুনজর দিয়েছে। এ ছাড়াও এলাকার নিরিহ অসহায় মেয়ে খাদিজা,শারমিন,সুমি আক্তার ও হোসনেআরা বেগম আলমের নির্যাতনের শিকার। আলম একজন নারী লোভি পুরুষ। প্রচলিত আইনে আমরা তার শাস্তি দাবি করছি।

আলমের প্রতিবেশী সিএনজি চালক জসিম বলেন, আলম হালিমা বেগমের ডাল ভাত খেয়ে কি করে তার সাথে জাল জালিয়াতি করলো আশ্চার্য ধরনের কথা।আলম কি আসলে মানুষের কাতারে পড়ে। যে বৃদ্ধা মানুষটি দীর্ঘ বছর তাকে লালন পালন জায়গা দিয়েছে তার বসতভিটা কি করে সে কেড়ে নিতে চায়! আসলে আলম একজন অমানুষ ও লোভি বটে।

তিনি আরও বলেন, সহজ সরল হালিমা বেগম তার কথার উপর বিশ্বাস করে ৮টি খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়েছে। আজ ওই সব স্ট্যাস্প দিয়ে আলম জায়গার মালিক সেজেছে। আরও অনেক কিছু করার পায়তারা চালাচ্ছে। আমি মনে করি প্রচলিত আইনে আলমের বিচার হওয়া প্রয়োজন।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড