মনিরুজ্জামান, নরসিংদী
মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে নরসিংদীতে বিদ্যালয়ের চারপাশে মশার ওষুধ ছিটানোর ফলে বিষক্রিয়ায় ১১ ছাত্রী অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুর ১২টায় নরসিংদী উচ্চ বালিকা বিদ্যানিকেতনে এ ঘটনা ঘটে। পরে অসুস্থ ছাত্রীদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
অসুস্থ ছাত্রীরা হলেন- জান্নাত, আয়েশা, তুবা, আলতা, তামান্না, সোহানা, হামিদা, সাইদা, নুসরাত, মুক্তা ও তুলি। তারা সকলেই ওই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নরসিংদীতে আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে নরসিংদী পৌরসভা কর্তৃপক্ষ মশা নিধনে শহরে বিভিন্ন স্থানে ওষুধ ছিটানোর কর্মসূচি শুরু করেছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরে নরসিংদী সরকারি মহিলা কলেজ এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হয়। এ সময় একই ক্যাম্পাসের নরসিংদী উচ্চ বালিকা বিদ্যানিকেতনের ক্লাস চলছিল।
এ সময় প্রধান শিক্ষক শ্রেণিকক্ষের দরজা জানালা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও দরজা জানালার ফাঁকা দিয়ে মশার ওষুধের বাষ্প শ্রেণীকক্ষে ঢুকে পড়ে। এতে করে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর ১১ জন ছাত্রী শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. বিপাশা মাসুদ ছাত্রীদের অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মশার ওষুধের বিষক্রিয়ার ফলেই শ্রেণিকক্ষে থাকা ছাত্রীরা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।
নরসিংদী উচ্চ বালিকা বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক তুষার কান্তি ঘোষ বলেন, মশার ওষুধ ছিটানোর বিষয়টি আমরা পূর্ব থেকে অবগত ছিলাম না। হঠাৎ করে ঔষধ ছিটানোয় তার বাষ্প শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থদের হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে নরসিংদী পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন বাচ্চু বলেন. শহরে এডিস মশার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মশা নিধনে আমরা শহরের বিভিন্ন স্থানে ওষুধ ছিটানোর কাজ শুরু করি। তবে এই ওষুধে বিষ ক্রিয়া হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। কেন বিষক্রিয়া হচ্ছে সেটা চিকিৎসকরা ভালো বলতে পারবেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড