সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ১০ দিনের বেশি সময় ধরে সিরাজগঞ্জ যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যমুনা পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধির সঙ্গে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও খাল-বিলেও পানি বাড়তে শুরু করেছেন।
এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার মাত্র ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে যমুনা নদীর চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়ে বাড়ি-ঘর তলিয়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের মানুষেরা নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটছে।
আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৭৪ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপদসীমা-১২ দশমিক ৯০ মিটার)।
এছাড়া কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৪৬ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপদসীমা: ১৪.৮০ মিটার)।
অপর দিকে দ্রুত যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার অভ্যন্তরীণ চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে। ফসলের মাঠ তলিয়ে বসতবাড়িতেও পানি উঠছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল রহমান জানান, কয়েকদিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আরও ২/৩ দিন পানি বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। তবে বিপদসীমা অতিক্রম করলেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। স্বাভাবিক প্লাবন হলেও বন্যা বা কঠিন অবস্থা তৈরির আশঙ্কা কম।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড