পদ্মায় নিখোঁজ প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ পরিদর্শনে নদীতে নেমে নিখোঁজ হওয়া ডুবুরি দলের প্রকৌশলী আমান উল্লাহর (২৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৯ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে পানির নিচে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরিরা।

নিহত আমান উল্লাহ (২৫) খুলনার রূপসা উপজেলার দোয়াড়া এলাকার বাসিন্দা রজ্জব আলীর ছেলে। তিনি বাঁধ নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমডি জামিল ইকবাল-এস কে ইমদাদুল হক আল মামুনের নিয়োজিত কনসালটেন্ট ফার্মের ডুবুরি দলের প্রকৌশলী।

পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বেলা পৌনে ১২টার দিকে বাঁধের বালুভর্তি জিও ব্যাগ নদীতে যথাযথভাবে ফেলা হয়েছে কি-না তা দেখতে অক্সিজেন মাস্ক এবং ডুবুরির যাবতীয় সরঞ্জামসহ সহকর্মী ডুবুরি মীর সাজ্জাদ হোসেনের (৫১) সাথে পানিতে ডুব দেন আমান উল্লাহ। ডুব দেওয়ার প্রায় ১৫ মিনিট পরে আমান উল্লাহ ভেসে উঠে সাহায্যের জন্য হাত উঁচু করলে নদীর পাড়ে থাকা আরেক ডুবুরি জাহিদ পানিতে নামেন। কিন্তু ততক্ষণে আমান উল্লাহ পানিতে তলিয়ে যান। এরপর থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ডুবুরি ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের দিয়ে তার খোঁজ চলছিল। বুধবার বিকাল ৩টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পূর্ব দিকে সাত কিলোমিটার দূরে পানির নিচে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরিরা।

হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পূর্ব দিকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে পানির নিচে থেকে আমান উল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হবে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করার পরে কারও কোনো অভিযোগ না থাকলে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও বলেন, কেউ যদি অভিযোগ করেন, তাহলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।