মো. কবির হোসেন, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি)
বৃষ্টি হলে আমার আয় হয়। আর না হয় দশমাস মাস বেকার বসে থাকতে হয়। কথাগুলো বড় কষ্ট নিয়ে বলছিলেন ছাতা সেলাই কারিগর সোহাগ। রাঙ্গামাটি কাপ্তাই ৪নং ইউনিয়নে ৫নং ওয়ার্ডে লগ গেইট এলাকায় দীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর যাবত বসবাস করছে সোহাগ।
সে পেশায় একজন পুরাতন ছাতার ফাটা ফুটা সেলাই মেকার বা কারিগর। সংসারে বৃদ্ধ মা, বাবা, স্ত্রী, দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে পরিবার। বাবা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নিজ জেলা নোয়াখালী থেকে মাকে নিয়ে কাপ্তাই চলে আসে। সে পেশায় একজন ছাতা সেলাই কারিগর ছিল।
ছাতা কারিগর সোহাগের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, আমার জন্মের ৭/৮ বছর পর থেকে আমি বাবা মোস্তফা কাপ্তাই নতুন বাজার যেখানে বসে ছাতা সেলাই করত আমি তা বসে বসে দেখতাম। সংসারে আরও ভাই-বোন জন্ম হয়। তাদের পাত্রস্থ করার পর আমি বিবাহ করে সংসার জড়িয়ে পড়ি। এক সময় বাবা বয়সের ভারে এবং শরীরে বিভিন্ন অসুখ হওয়ার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সংসার চলে না।
তিনি আরও বলেন, বাধ্য হয়ে বাবার দেখা ও শিখানো কর্মে আমি সংসারের হাল ধরি। সে থেকে দীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর যাবত পুরাতন ছাতার যাবতীয় সেলাইসহ মেরামতের কাজ করছি। অসুস্থ বাবার ঔষধসহ নিজ সংসারের খরচ বহন করে চলছি।
ছাতা কারিগর সোহাগ বলেন, আমরা যে কাজ শিখেছি ছাতার মেরামত এ ব্যবসার কাজ মাত্র দুই মাসের জন্য হয়। তাও যদি বৃষ্টি হয় তাহলে। না হয় হয় না। কারও পুরাতন ছাতা ফাটা-ফুটা বা ছাতার শিক ভেঙে গেলে বৃষ্টি হলে কাজ করতে নিয়ে আসে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয়শ থেকে আটশ টাকা আয় হয়। তা দিয়ে সংসার চলে। আর দশ মাস ছাতার তেমন কোনো কাজ হয় না। তাই জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্যত্র দিনের ডেলি কাজ করে সংসার চলে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড