রাফিকুর রহমান লালু, রাজশাহী
গত কয়েক বছর ধরে গোপনে না অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়লেও এবার প্রকাশ্যে এসেছে এই সিন্ডিকেটের নানা অবৈধ ব্যবসা। সুত্র বলছে- অবৈধ ব্যবসার সাথে তারা সরকার বিরোধী কার্যক্রম গোপন বৈঠকসহ নানা অপরাধ মুলক কর্মে লিপ্ত।
এই সিন্ডিকেট আয়ের উৎসাহ যোগাতে কয়েক বছর ধরে বন্ধন নামে মাছের কথিত ফিডসহ নিম্নমানের কেমিক্যাল রাতের আধারে তৈরি করছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়- দুর্গাপুর ফাজিল মাদরাসার জামাত বিএনপির চিহ্নিত পাঁচ শিক্ষক সরকার বিরোধী দলের অর্থের জোগান দিতে এমন অবৈধ ব্যবসায় সাথে জড়িয়ে পড়েন। দুর্গাপুর উপজেলার গাগণ বাড়িয়া নামক স্থানে রয়েছে একটি অলিখিত মিল। যেখানে সকল ধরনের লাইসেন্স বিহীন অবৈধ কেমিক্যাল ফিডসহ নানা ধরনের পণ্য তৈরি করা হয়।
দুর্গাপুর ফাজিল মাদরাসার শিক্ষক রবিন, কাজী নাজমুল, কাজিমুদ্দিনসহ দুইজন মহিলা সদস্য রয়েছে এই সিন্ডিকেটে। এরা শিক্ষকতা পেশাকে সাইনবোর্ড হিসাবে ব্যবহার করে সরকার বিরোধী কর্মের সাথে মিলিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই সিন্ডিকেটের পণ্য প্রতারণার মাধ্যমে পৌছে যায়।
দুর্গাপুর বাজারে রয়েছে- এদের নিজস্ব সেল সেন্টার সেখানে নিয়ন্ত্রণ করেন জামাত বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান ফাজিল মাদরাসার শিক্ষক রবিন। রবিনের নামে পুর্বেও রয়েছে নানা অভিযোগ। তিনি চেয়ারম্যান থাকা কালিন সময়ে পরিষদে আসা অর্থ চাউল আত্মসাৎ করার অভিযোগে হাজত বাস ও করেন। বর্তমানে তিনি মাঝে মধ্যেই আত্নগোপনে চলে যান।
সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য শিক্ষক কাজি নাজমুল। তিনি প্রকাশ্যে বলে বেড়ান জামাতের লোক কি ব্যবসা করতে পারে না? তার এমন প্রশ্নের উত্তরে তার অবৈধ ব্যবসায় বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সঠিক উত্তর না দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখানোর চেষ্টা করেন। কাজি নাজমুলের বিরুদ্ধে রয়েছে অগনিত অভিযোগ।
তিনি দুই ধরনের বিবাহ রেজিস্ট্রার খাতা ব্যবহার করে থাকেন। যে সকল বিবাহে বয়সের গড়মিল অথবা ক্রুটি পুর্ণ থাকে সেই সকল বিবাহ তিনি প্রাইভেট খাতায় লিপিবদ্ধ করেন। অতিরিক্ত অর্থ সেই নকল খাতায় উল্লেখ করলেও আসল খাতায় তা উঠেনা। পৌর এলাকার ইয়াছিন জানান দূর থেকে পালিয়ে আসা রাতের আধারের একটি বিয়েতে তিনি নিজ চোখে এমন ঘটনা দেখেছেন।
একই এলাকার নাছিমা খাতুন বলেন পালিয়ে বিয়ে করতে আসা এক জুটির বিয়েতে কাজী নাজমুল রাজি ছিলেন না কারণ মেয়ের বয়স ৩ মাস কম ছিল। কিন্তু ছেলের পরিবার অতিরিক্ত ১০ হাজার দিতে চাওয়ার কাজি ভেতরে নিয়ে গিয়ে কিভাবে যেন করে দিলেন। আর কাউকে বলতে নিষেধ করলেন।
ফাজিল মাদরাসার শিক্ষক কাজিম উদ্দিন একাকায় চিহ্নিত জামাত ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। দুইজন নারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারা গোপনে জামাত শিবিরে নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকেন। তাদের এমন ঘটনার বিষয় জানতে চেয়ে ফোন করলে শিক্ষক রবিন জানান তিনি দলীয় সমস্যার কারণে রাজশাহীর উপর শহর এলাকায় রয়েছেন সামনে দেখা করে তিনি বলতে চান।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড