• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ধুকুরিয়া মডেল স্কুলে নিয়োগ বাণিজ্যের ২০ লাখ টাকা ভাগ-বাটোয়ারা

  সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ

০৩ আগস্ট ২০২৩, ১৬:৫৬
ধুকুরিয়া মডেল স্কুলে নিয়োগ বাণিজ্যের ২০ লাখ টাকা ভাগ-বাটোয়ারা

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তার ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক ও আয়া জনবল নিয়োগে ২০ লাখ টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ- সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক দুইটি পদের বিপরীতে দুইজন প্রার্থী আয়া পদে রোজিনা খাতুনের নিকট থেকে ছয় লাখ ও অফিস সহায়ক পদে ইমরান হোসেনের নিকট থেকে ১৪ লাখ টাকা নিয়ে তাদের নিয়োগ দেয়। এ দিকে চাকুরি প্রত্যাশীরা নিয়োগ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে বিদ্যালয়ে সরজমিনে জানা যায়, গত ১৪ জুন অফিস সহায়ক ও আয়া পদে জনবল নিয়োগের জন্য স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ধুকুরিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর স্থানীয়রা চাকুরির আশায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট যোগাযোগ শুরু করেন।

পরবর্তীকালে জমি বিক্রিসহ ধার-দেনা করে রোজিনা ও ইমরান হোসেনের পরিবারের লোক সভাপতি আব্দুস সাত্তার ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিনের নিকট ২০ লাখ টাকা জমা দেন।

নিয়ম মোতাবেক গত ১ আগস্ট ধুকুরিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়। আয়া পদে পাঁচজন ও অফিস সহায়ক পদে চারজন প্রার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ দিকে অফিস সহায়ক ও আয়া পদে চাকুরি বঞ্চিতরা অভিযোগ করে বলেন, যারা চাকুরির জন্য টাকা জমা দেন, তাদেরকে পরীক্ষার আগের দিন রাতে প্রশ্নপত্র দিয়ে দেয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন।

তারা আরও বলেন, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক যোগসাজশ করে যারা বেশি টাকা দিয়েছে তাদের নিয়োগ দিয়েছে। আমরা এই নিয়োগ বাতিলসহ পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষার দাবি জানাই। তা নাহলে আমরা নিয়োগ বঞ্চিতরা মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচি পালন করব।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, সঠিক নিয়মে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। টাকা-পয়সা লেন-দেনের বিষয়টি আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে ধুকুরিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তার টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সারাদেশে প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা হলে প্রার্থীর নিকট থেকে টাকা নেওয়া হয়। আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য দুই প্রার্থীর নিকট থেকে কিছু টাকা নিয়েছি।

বেলকুচি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম গোলাম রেজাকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড