ইয়াবার চালান পাচারের সময় ধরা পড়ল কারবারিরা
মিজানুর রহমান মিজান, টেকনাফ (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন শীলবুনিয়া পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ চারজন মাদক কারবারি র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- টেকনাফ সদর নাজির পাড়ার শমশুল আলমের পুত্র সৈয়দ আলম, শীলবনিয়া পাড়ার নাজির আহমদের পুত্র সৈয়দ আহম্মদ, নাজির পাড়ার নূর ইসলামের পুত্র নুরে আলম, একই এলাকার মোহাম্মদ ইসহাকের ছেলে মো. ইসমাইল।
গতকাল শনিবার (২৯ জুলাই) তথ্যটি নিশ্চিত করে র্যাব ১৫ কক্সবাজার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন শীলবুনিয়া পাড়া এলাকার টেকনাফ বাজার টু সাবরাং বাজারগামী পাকা রাস্তায় কতিপয় মাদক কারবারি অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় অথবা অন্যত্র প্রেরণের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ২৯ জুলাই অনুমান সাড়ে ৫টায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-১, টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস অভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে চারজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীকালে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের দেহ এবং সাথে থাকা পলিথিন ব্যাগ তল্লাশি করে তাদের হেফাজত হতে সর্বমোট ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪টি স্মার্ট ফোন, ৪টি বাটন ফোন এবং ১৩টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরও জানান, অভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে পৌঁছানোর পূর্বেই একজন মাদক কারবারি দ্রুত পালিয়ে যায় মর্মে ধৃত ব্যক্তিদের নিকট থেকে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারিরা জানান, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্র। তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘ দিন যাবত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদকের চালান অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহপূর্বক মজুদ করত।
পরবর্তীকালে তারা অত্যন্ত কৌশলে উক্ত মাদক নিজেদের হেফাজতে রেখে টেকনাফ ও কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় ও সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও উদ্ধারকৃত মোবাইল ও সিম ব্যবহার করে মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ তারা বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে বলে জানা যায়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
