টেকনাফে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফে অপহৃত মাদরাসা ছাত্রী ফারিহা খানম জেরিন (৮) এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া এলাকায়। ২৮জুলাই(জুমাবার) বেলা ৫টার দিকে উপজেলা হ্নীলা দারুস্সুন্নাহ মাদাসা সংলগ্ন ডাস্টবিন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিশু শিক্ষার্থী টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভী বাজারের ছানা উল্লাহর মেয়ে ও হ্নীলা দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল ।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭জুলাই) সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে ফারিহা জান্নাতকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তারপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। রাতে হঠাৎ অপহৃত নিকাটাত্মীয়দের মোবাইল নম্বরে একটা অপরিচিত কল আসে। সে নম্বর থেকে মেয়ের মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। আজ বিকেলের দিকে তার মাদরাসার পাশের ডাস্টবিন থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী পরিবারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, র‌্যাবের একটি দল ওই শিশুর লাশটি উদ্ধার করে এবং ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে।

নিহত শিশুর মা জেসমিন আক্তার বলেন, গতকাল রাতে হ্নীলার পশ্চিম সিকদারপাড়ায় তার বড় মামার বাড়ি থেকে ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাঁর মুঠোফোনে কল করে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। এ ঘটনার পর রাতে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ করা হয়।

রাত ১০ টার দিকে র‌্যাব-১৫ এর মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আটক এরফান অপহৃত শিশুকে খাবার খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে, ঘটনায় জড়ি এরফানের পিতার কক্ষে নিয়ে আসে। সেখানে ভিকটিমের হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষন করে। ধর্ষনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নাইলনের দড়ি দিয়ে ভিকটিম ফারিহা খানম জেরিন (৮) কে হত্যা করে। পরবর্তীতে পরিহিত কাপড়চোপ বাসার পাশের নালায় লুকিয়ে রাখে এবং রাত অনুমান সাড়ে ৩টার দিকে নর্দমায় ফেলে রুমে অবস্থান করে। ২৮ জুলাই বিকাল ৩টার সময় পিতার কক্ষথেকে আসামীকে আটক করে। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভিকটিমের মায়ের কাছে ৫লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়। মূলত তাকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে অপহরণ করে। লাশের সূরত হাল তৈরি করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, র‌্যাব ও পুলিশ অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য পৃথকভাবে অভিযান চালিয়েছে। মধ্যে ২৩ ঘণ্টা পর শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।