আনোয়ার পারভেজ, নাটোর
নাটোরে সিজারিয়ান অপারেশনের পর নাজমা বেগম (৩৮) নামে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
নাটোর শহরের মাদরাসা মোড় এলাকার আল-মদিনা হাসপাতালে গতকাল বুধবার এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি গোপন করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিবারের লোকজনকে রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী নিয়ে যেতে বলেন।
নিহত প্রসূতি নাজমা বেগম নাটোর সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের চৌরি গ্রামের আব্দুস সোবহানের স্ত্রী।
নিহত নাজমার স্বামী সোবহান অভিযোগ করে বলেন, সন্তান প্রসবের জন্য তিনি তার স্ত্রীকে সকাল দশটার দিকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করান। ভর্তির সময় তার স্ত্রী সুস্থ ছিল। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ সিজার করা হয়। এ সময় তার স্ত্রী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। অপারেশনের পর পরই স্ত্রীকে রক্ত দেওয়ার কথা জানান চিকিৎসক।
তাৎক্ষণিক ৩ ব্যাগ ‘ও নেগেটিভ’ রক্ত যোগাড় করে দেন তিনি। নাজমার সিজারিয়ান অপারেশন করেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক সামিরা তাবাসসুম সাথী ও এনেসথেশিয়া চিকিৎসক ছিলেন রিয়াদুল ইসলাম। অপারেশনের পর পরই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নাজমা বেগমের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়। রক্ত দেওয়ার পরও নাজমাকে স্বাভাবিক করতে পারেননি চিকিৎসক।
নাজমার ভাতিজা কাউছার আহম্মেদ জানিয়েছেন, এদিন বিকাল তিনটার দিকে হাসপাতালের মালিক আল আমিন তাকে রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী নিয়ে যেতে বলেন। অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে রওনা হওয়ার সময় সন্দেহ হওয়ায় তাকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমা বেগমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, তার ফুফু তিন মেয়ের পর এবার ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় সন্তানের মুখ দেখার সৌভাগ্য তার হয়নি। চিকিৎসক সামিরা তাবাস্সুম সাথী এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।
হাসপাতালের স্বত্বাধিকারি আল আমিন ভুল চিকিৎসার কথা অস্বীকার করে জানান, অপারেশনের সময় নাজমার শরীরে ৫৬ শতাংশ রক্ত ছিল। তবে অপারেশনের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। মূলত অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড