কাজী শাহরিয়ার রুবেল, আমতলী (বরগুনা)
বর্ষা এলেই উপকূলীয় এলাকায় নৌকার কদর বেড়ে যায়। তাই তো নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। শুধু বর্ষা নয়, বছরের অধিকাংশ সময়ই তারা নৌকা তৈরির কাজে মগ্ন থাকেন। গ্রামে গেলেই ঠুকঠাক শব্দ শোনা যায়। দেখা যায় নৌকা তৈরির ধুম।
বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের চুনাখালী গ্রামে গেলেই চোখে পড়ে এমন চিত্র। গ্রামের প্রায় শতাধিক কারিগর নৌকা তৈরির পেশায় জড়িত। জীবিকার তাগিদে তারা বছরের অধিকাংশ সময় এই পেশায় ব্যয় করেন।
দেড়শ বছর ধরে বংশ পরম্পরায় এ পেশাটি ধরে রেখেছেন গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার। গ্রামটি এখন সবার কাছে নৌকা গ্রাম হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ মিলেছে অনেক শ্রমিকের।
স্থানীয় বাজারের নৌকা ব্যবসায়ী রাজিব বলেছেন, জীবনের প্রথম দিকে গার্মেন্টস শ্রমিক ছিলাম। পরে নৌকা ব্যবসায় ফিরে আসি। দীর্ঘ ৪ বছর ধরে আমি নৌকা ব্যবসায় জড়িত। স্থানীয় বাজার ছাড়াও কলাপাড়া, মহিপুরসহ বিভিন্ন হাটে আমি নৌকা বিক্রি করি।
তিনি আরও জানান, বছরের অধিকাংশ সময়ই নৌকা তৈরি করা হয়। তবে বর্ষা এলেই কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করে। এক কথায় দম ফেলার সময় পায় না কারিগররা। ক্রেতার চাহিদা থাকায় প্রত্যেক মাসে প্রায় ৪০টি নৌকা তৈরি হয়।
চুনাখালী গ্রামের মিথুন কর্মকার বলেন, এখানে তৈরি নৌকাকে ডিঙ্গি নৌকা বলা হয়। প্রায় বাড়ির আঙিনায় পলিথিন টানিয়ে আবার কেউ খরের ছাপরা দিয়ে নৌকা তৈরির অস্থায়ী ঘর বানিয়েছেন। একটা নৌকা তৈরিতে দু’জন কাঠমিস্ত্রি প্রয়োজন হয়। মজুরি হিসাবে প্রতিদিন কাঠমিস্ত্রিরা পান তিনশত পঞ্চাশ টাকা। স্বল্প পানিতে সহজেই এই নৌকা চলাচলের উপযোগী। এই নৌকার বেশ চাহিদা থাকায় মানুষের কাছে নৌকা গ্রাম হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে।
কুকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম তালুকদার দৈনিক অধিকারকে বলেন, ইউনিয়নের চুনাখালী গ্রামের পূর্ব অংশ নৌকা গ্রাম হিসাবে বেশ পরিচিত। বংশপরম্পরায় এ পেশাটি টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড