নাজির আহমেদ আল-আমিন, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দীর্ঘদিনের পলাতক যাবজ্জীবন সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলসুমকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে ভৈরব থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে কুলসুমকে।
আসামি কুলসুম বেগম শহরের জগন্নাথপুর এলাকার মো. মিজানুর রহমানের স্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, পিপিএমের (বার) নির্দেশে গঠিত ভৈরব থানার একটি চৌকস টিম এএসআই (নিরস্ত্র) মো. নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দীর্ঘদিনের পলাতক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম বেগম ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকা হতে গ্রেফতার করে। আসামি কুলসুম বেগম (৪৫) গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে পালিয়ে বেড়ান।
আসামি কুলসুম বেগমের যে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন সেগুলো হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার আশুগঞ্জ থানার মামলা নং-৮, তারিখ- ০৮ জুন, ২০১২; ধারা- ১৯(১) এর ৩(খ) ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন । আর অত্র মামলায় আসামি কুলসুম বেগম (৪৫) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।
দ্বিতীয়টি হলো- ভৈরব থানার মামলা নং-২৬ (০২)২০১৩, ধারা- ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-বি; অত্র মামলায় আসামি কুলসুম বেগম (৪৫) দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।
এছাড়াও আসামি কুলসুম বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানার মামলা নং-৩৩/৩৩, তারিখ- ১৮ জানুয়ারি, ২০১৮; ধারা- ১৯(১) এর ৩(খ) ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন। এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানার মামলা নং-৫, জিআর ২১৭/২০২০, তারিখ- ০৯ ডিসেম্বর, ২০২০; ধারা- ৩৬(১) সারণির ১৪(গ)/৩৬(১) সারণির ১৯(খ)/৩৮/৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এ মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম জানান, দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলসুমকে আমাদের পুলিশ অফিসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে ভৈরবপুর একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিকে বিধি মোতাবেক আজ বুধবার কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড