সুমন খান, লালমনিরহাট
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও ভারী বৃষ্টিতে লালমনিরহাট জেলায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ফের বিপদসীমার ওপরে দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে। ফলে হাতীবান্ধাসহ জেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে ধীরে ধীরে পানি ঢুকছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিস্তা নদী পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকা গুলো হাজারো পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। তিস্তা নদীর চর অঞ্চল গুলোতে লোকজনের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ও পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মজিবুল আলম সাহাদাত জানান, তাদের ইউনিয়নের অসংখ্য পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম শাহ জানান, পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করছি। চেয়ারম্যানরা তালিকা দিলে বলা যাবে কত পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে আবারও বাড়তে শুরু করে পানি। এতে হাতীবান্ধাস্থ তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ফলে জেলার পাঁচ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলে ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে ধীরে ধীরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
এ দিকে ধরলা নদীর পানিও বাড়া-কমার মধ্যে আছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার।
বর্ষা মৌসুমে জুন মাসের শুরু থেকে তিস্তার পানি বাড়া-কমার মধ্যে আছে। প্রথম দফা স্বল্প মাত্রার বন্যার পর পানির গতি অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে বাড়তে শুরু করে পানি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে সকালে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। জরুরি প্রয়োজনসহ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করায় প্রস্তুতি নেয়া রয়েছে। আমরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউএনওদের মাধ্যমে সকল পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখছি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড