আতিয়ার রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া)
পদ্মার অনাবাদী চরে চিনা বাদাম চাষ করে এ বছরও ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলের চাষিরা। পদ্মার বিস্তীর্ণ চরে চাষ করা সোনালী ফসল বাদাম ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
অর্থকরী এ ফসল চাষ করে সংসারে সচ্ছলতাও ফিরেছে চরবাসীর।
চলতি রবি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দৌলতপুরের বিস্তীর্ণ চরে চাষ হয়েছে ৯৭০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের চেয়ে ৮০ হেক্টর বেশি। এক সময় পদ্মা নদীতে জেগে উঠা বালুচর পড়ে থাকতো। যা চাষিদের কোনো কাজেই আসতো না। জেগে উঠা পদ্মার চরে চাষিরা চিনা বাদাম চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ায় প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে বাদাম চাষ।
অর্থকরী এ ফসলের চাষ পুরো চরে ছড়িয়ে পড়ছে। এ বছরও চরে বাদাম চাষ করে চাষিরা ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছেন। খরচ বাদ দিয়ে চাষিদের লাভের অংক তিনগুণ থেকে চারগুণ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে মাত্র ৫-৬ হাজার টাকা। আর বিক্রয় হচ্ছে প্রতিমণ চার হাজার টাকা থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা দরে। খরচ কম, অল্প পরিশ্রমে লাভও বেশি। তাই চাষিরা বাদাম চাষে চরম খুশি। তবে এ বছর খরার কারণে বাদামের ফলন তুলনামূলক কম হয়েছে বলে চাষিরা জানিয়েছেন উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া গ্রামের বাদামচাষি সোহেল আহমেদ।
তিনি জানান, এ বছর চার বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে খরচ বাদ উৎপাদন খরতে প্রায় তিনগুণ লাভ হয়েছে। একই কথা জানিয়েছেন ফিলিপনগর চরের বাদামচাষি আজিজুল হক। কৃষি বিভাগ থেকে বাদামের নতুনজাত সরবরাহসহ প্রণোদনা ও কারিগরি পরামর্শ প্রদান এবং সব ধরণের সহায়তা দেওয়ার ফলে বাদামের ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাশাপাশি আধুনিক ও উচ্চ ফলনশীল জাতের বাদাম চাষ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন, দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলাম।
চরাঞ্চলের পড়ে থাকা অনাবাদী জমিতে অর্থকরী ফসল বাদাম চাষের আওতায় আনা গেলে চরবাসী আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন। পাশাপাশি দেশের বাদামের চাহিদা মিটবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড