দেশের সেরা নৃত্যশিল্পী হিসেবে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে চায় হৃদিতা

শাহরিন সানজিবা হৃদিতা মিষ্টভাষী ও প্রতিভাবান একজন উদীয়মান নৃত্যশিল্পী। তিনি একাধারে একজন নৃত্যশিল্পী, সংগীতশিল্পী ও দেশীয় টিভি মিডিয়ার উঠতি বয়সের অনুষ্ঠান উপস্থাপিকা। সুন্দরী–সুদর্শনা আর স্মার্ট মেয়ে হৃদিতা।

দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে শোবিজে নিজের একটি শক্ত অবস্থান করে নিয়েছেন। ইতোমধ্যেই নির্মাতা আর দর্শকদের নজরে এসেছেন সুতনুকা এই মেয়েটি।

বাবা শারিফুর রহমান ও মা কাজী নীলিমা। বাবার বাড়ি নরসিংদীর ঘোড়াশালে। সংস্কৃতিপ্রেমী পরিবারে বেড়ে উঠার সুবাদে হৃদিতার সংগীত ও নৃত্যচর্চার হাতে খড়ি জীবনের সূচনা থেকেই। নৃত্যের প্রতি অসীম ঝোঁক দেখে তার মা-বাবা তাকে মাত্র সাড়ে চার বছর বয়স থেকে উস্তাদ নৃত্য পরিচালক আজিজ রেজা ও ওয়াকিল আহমেদ সুমন স্যারের কাছে নাচের তালিমে দিয়ে দেন। বলতে গেলে নাচে তাদের হাতেই হৃদিতার হাতে খড়ি।

২০১০ সাল থেকেই সে নাচে বাংলাদেশ টেলিভিশনের শিশু শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০১৪ সাল থেকে নাচে শিশু শিল্পী হিসেবে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার তালিকাভুক্ত হয়। পরে সুযোগ আসে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করার। এটিএন বাংলার জনপ্রিয় নৃত্যানুষ্ঠান ছন্দে আনন্দে অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা হিসেবে কাজ শুরু করেন ২০১৬ সাল থেকে।

তার বাচন-ভঙ্গি, উপস্থাপনার ধরন সব মিলিয়ে টানা দুই বছর ওই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে সে। অর্থাৎ ২০১৮ সাল পর্যন্ত এটিএন বাংলার জনপ্রিয় নৃত্যানুষ্ঠান ছন্দে-আনন্দে অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকার দায়িত্ব পালন করেন।

সে চলতি বছর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। সে প্রথম শ্রেণি থেকেই অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে লেখাপড়া করে আসছে। প্রতি বছরই স্কুলের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় নাচ ও গানের বিভিন্ন বিভাগে অংশ নিয়ে নিজেকে মেলে ধরে সাফল্য সাফল্য স্বাক্ষর রেখেছে।

হৃদিতা ২০১৯ সালে আন্ত:স্কুল বিভাগীয় পর্যায়ে নাচে অংশ নিয়ে ২য় স্থান অর্জন করেন। গত ১৮ জুন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২২ইং এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কলেজ কর্তৃপক্ষ শাহরিন সানজিবা হৃদিতাকে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে স্কুলের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবদান রাখার জন্য বিশেষ পুরস্কার প্রদান করেন।

পুরস্কারটি তার হাতে তুলে দেন মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ জিয়াউল আলম, কলেজের সিনিয়র পরিচালক (প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, পরিচালক মণ্ডলীর সদস্য ও শিক্ষক শিক্ষিকাগণ। সে চলতি বছর অত্র কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

হৃদিতার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক অধিকারকে বলেন, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আমার এই দীর্ঘ পথচলায় সবচেয়ে সহযোগিতা ও সাহস যুগিয়েছেন আমার মা। মা-বাবা ও আত্মীয়-স্বজনের উৎসাহ অনুপ্রেরণা– আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে নাচে নিজেকে ক্রমশ ব্যস্ত করে তুলতে চাই, আপন প্রতিভায় নিজেকে মেলে ধরে নিজের সেরা পারফর্মেন্স বের করে এনে দেশীয় শোবিজ মিডিয়ার নতুন প্রজন্মের উঠতি তারকা হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে চান তিনি।

মিষ্টি হাসির বিনয়ী মেয়ে হৃদিতা সকলের দোয়া চেয়ে আরও বলেন, আমি এই বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তাই সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। এতদিন পড়ালেখার পাশাপাশি আমি নাচ চালিয়ে এসেছি। আমার ইচ্ছা আমি ভবিষ্যতে দেশের নামীদামী একজন নৃত্যশিল্পী হবো। সারাদেশে আমার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে। শুধু নাচে আমি আমার প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে চাই।