• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

রাণীনগরে লক্ষমাত্রার ১৫ শতাংশ জমিতে আউশ ধান রোপণ

  সাইদুজ্জামান সাগর, রাণীনগর (নওগাঁ)

০২ জুলাই ২০২৩, ১৮:২০
রাণীনগরে লক্ষমাত্রার ১৫ শতাংশ জমিতে আউশ ধান রোপণ

নওগাঁর রাণীনগরে চলতি আউশ মৌসুমে সম্ভাব্য লক্ষমাত্রার ১৫.৩৫ শতাংশ জমিতে আউশ ধান রোপণ করা হয়েছে। এ মৌসুমে উপজেলায় ধান রোপনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল এক হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ধান রোপন করা হয়েছে ১৮৫ হেক্টর জমিতে। ফলে সম্ভাব্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় চার হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদন ঘার্তিতে পরবে।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২০২১ সালে উপজেলায় এক হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ হয়েছিল। সে সময় ধান উৎপাদন হয়েছিল ৪ হাজার ৮৯০ মেট্রিকটন। ২০২২ সালে এক হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান রোপণ করা হয়।

ধান উৎপাদন হয় ৪ হাজার ৭৪৯ মেট্রিকটন। চলতি মৌসুমেও আউশ ধান রোপনের সম্ভাব্য লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে এক হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে এবং ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮৯০ মেট্রিকটন। সেখানে উপজেলায় ২১জুন পর্যন্ত ১৮৫ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে।

কৃষি অধিদপ্তর থেকে বলা হচ্ছে, অনাবৃষ্টির কারণে সময় মতো কৃষক ধান রোপন করতে পারেনি। কৃষকরা বলছেন, ধানের ন্যায্য দর পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা এবং বিভিন্ন প্রতিকুলতার কারণে প্রায় কৃষকই আউশ ধান রোপন করেননি।

উপজেলার কালীগ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বৈশাখ মাসে বোরো ধান কাটার পর পরই জমিতে আউশ ধান রোপন শুরু হয়। বৈশাখ থেকে জৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত ধান রোপণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু এবার অধিক খড়ার কারণে ধান চাষে আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় রোপণ করা হয়নি।

হরিপুর গ্রামের চন্দ্র বলেন, গত বছর দেড় বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছিলাম। কিন্তু এবার গ্রামের কেউ ধান রোপণ না করায় আমিও একা ধান রোপণ করিনি। কারন একা ধান রোপণ করলে অধিক পোকা-মাকড়ে ধান নষ্ট হয়ে যাবে।

আবাদপুকুর বাজারের হাফিজার রহমান বলেন,গত বছর চার বিঘা জমিতে আউশ ধান রোপণ করেছিলাম। এবার চার বিঘা জমিতে ধান রোপনের জন্য বীজ বপন করেছিলাম। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে আর ধান রোপণ করিনি।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারহানা নাজনীন বলেন, চলতি মৌসুমে আউশ আবাদের সম্ভাব্য লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে এক হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে। গড় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার হাজার ৮৯০ মেট্রিকটন ধান। কিন্তু অধিক খরার কারণে কৃষকরা ধান রোপণ করতে পারেননি।

অনেক জায়গায় বীজতলা মরে নষ্ট হয়ে গেছে।এর মধ্যেও ২১ জুন পর্যন্ত ১৮৫ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে। তবে আরও কিছু জমিতে ধান রোপণ হতে পারে বলে তিনি জানান।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড