‘আমার ছেলে কোনো অবস্থাতেই পানিতে ডুবে মারা যেতে পারে না’

পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জয়ন্ত সাহা জয়কে (১৪) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।

গত ২৩ জুন দুপুরে পটুয়াখালী শহরের পৌরসভা লেক থেকে জয়ন্তর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

নিহত জয়ন্তর পিতা পটুয়াখালী শহরের এ কে এম কলেজ রোড বাসিন্দা তাপস চন্দ্র সাহা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, তার ছেলে সাতার জানতো এবং সে ৫ ফিট ৮ ইঞ্চি উচ্চতা ছিল, পাশাপাশি জয়ন্ত একজন ভালো মানের ক্রিকেটার ছিল। এ অবস্থায় পৌরসভা লেকের তিন থেকে চার ফিট পানিতে জয়ন্ত কোনো অবস্থাতেই পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করতে পারে না।

তিনি ধারনা করছেন- পূর্ব বিরোধের জেরে জয়ন্তকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে সাংবাদিকদের কাছে তিনি অনুরোধ করেন- অনুসন্ধান করে এবং পটুয়াখালী পৌরসভার সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই-বাছাই করে জয়ন্ত হত্যার রহস্য উদঘাটন করে তা গণমাধ্যমে প্রচার করা হোক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, স্কুলছাত্র জয়ন্তর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং সার্বিক বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।