লাথি দিয়ে বাস থেকে ফেলে এক শ্রমিককে পিষে মারলো বাসের হেল্পার

গাজীপুরের শ্রীপুরে রাস্তা পার হওয়ার সময় সাহেরা খাতুন নামে এক নারীকে ধাক্কা দেয় তাকওয়া পরিবহনের একটি বাস। বাসে উঠে প্রতিবাদ করায় ওই নারীর স্বামী পোশাক শ্রমিক শহিদুল্লাহকে গাড়ি থেকে লাথি দিয়ে নিচে ফেলে পিষে মারে বাসটি।

শুক্রবার (২৩ জুন) রাত আটটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রঙিলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকওয়া পরিবহনের বাসটি আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা।

নিহত শহিদুল্লাহ (৫৫) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের প্রয়াত আব্দুল কাদেরের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

স্থানীয়রা জানান, সকালে স্বামী–স্ত্রী দুইজন মিলে আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। পরে রাতে বাসায় ফেরার পথে বাড়ির পাশে রঙিলা বাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মহাসড়ক পার হয়ে শহিদুল্লাহ রাস্তার পার হয় অন্য পাশে দাঁড়িয়ে স্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় স্ত্রী সাহেরা খাতুন রাস্তা পার হয়ে পাশ দিয়ে হেঁটে স্বামীর দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাকওয়া পরিবহনের দু’টি বাস পাল্লা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে যাওয়ার সময় একটি বাস সাহেরাকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। এ সময় শহিদুল্লাহ স্ত্রীকে ফেলে দেওয়ার প্রতিবাদ করে বাসটির গেটে ওঠার চেষ্টা করলে চালকের সহকারী তাকে লাথি দিয়ে ফেলে দিলে বাসটি তাকে পিষে দিয়ে চলে যেতে থাকে। পরে স্থানীরা বাসটির গতিরোধ করে। তবে বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

আলহেরা মেডিকেল সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শহিদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আর গুরুতর আহত সাহেরা খাতুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কংকন কুমার বিশ্বাস জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি জব্দ করা হয়েছে। ঘাতক চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করতে কাজ করছে পুলিশ। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।