• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের পর কথিত স্বামীকে ধরল পুলিশ

  নাজির আহমেদ আল-আমিন, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)

১৮ জুন ২০২৩, ১১:৪০
গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের পর কথিত স্বামীকে ধরল পুলিশ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে রিনা বেগম (৩৭) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার (১৭ জুন) বিকাল ৩টায় পৌর শহরের কাঠ বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন জুয়েল মিয়ার ৩য় তলা বিল্ডিং থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

রিনা বেগম শেরপুর জেলার নকলা থানা টাকলী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে। সে পেশায় হোটেল শ্রমিক।

১৫ বছর আগে রিনার স্বামী মারা গেলে ৫ বছর আগে দুই ছেলে নিয়ে ভৈরবে আসে কাজের সন্ধানে। দুলাল মিয়া দুই ছেলের কাজের ব্যবস্থা ও রিনা বেগমের চাকরির ব্যবস্থা করেন। এরপর থেকে রিনা ও দুলাল এক সাথে বসবাস শুরু করেন। এ ঘটনায় নিহতের মামাতো ভাই হোটেল শ্রমিক দুলাল মিয়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেড় মাস আগে কাঠ বাজার জামে মসজিদ রোড এলাকায় জুয়েল মিয়ার বিল্ডিংয়ে ৩য় তলার একটি ইউনিট ভাড়া নেন। দুই রুমের ইউনিটে দুই ছেলে ও মামাতো ভাই দুলাল মিয়াকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এর আগেও তারা বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়ায় থাকতেন।

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুলাল মিয়ার মাধ্যমে স্থানীয়রা জানতে পারেন বিল্ডিংয়ে রিনা বেগমের মরদেহ তার শয়নকক্ষে পড়ে আছে। পরে এলাকাবাসীরা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে খবর দিলে তিনি এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পুলিশে খবর দেন।

স্থানীয়রা জানান, রিনা এবং দুলাল মিয়া দীর্ঘদিন যাবত স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকতেন।

এ বিষয়ে দুলাল মিয়া জানান, আমি এবং রিনাসহ তার দুই ছেলে সকালে বাসা থেকে কাজে বের হয়ে যাই। রিনা ভৈরব বাজার জনতা হোটেলে কাজ করেন। আমি দুধ বাজার আম্মাজান হোটেলে চাকুরি করি। রিনার দুই ছেলে চক বাজারে কাজ করে। এদিন বেলা ১২টায় আমি হোটেল থেকে বের হয়ে রিনাকে জনতা হোটেলে পাইনি। হোটেল মালিক জানিয়েছেন- সে বাসায় চলে গেছে। পরে বাসায় গিয়ে দেখি ওড়না পেঁচানো অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। ঘরের জিনিষপত্র অগোছালো ছিল। রিনার মোবাইলটি নিয়ে গেছে। তবে কে বা কারা মেরেছে তা আমি বলতে পারছি না।

এ বিষয়ে নিহতের ছেলে রিয়াজ মিয়া জানান, সাড়ে ১২টায় খবর পায় বাসায় অঘটন ঘটেছে। বাসায় এসে দেখি আমার মায়ের লাশ পড়ে আছে। আমরা একই বাসায় থাকতাম। আমার মা দুলাল মামার সাথে থাকতেন। তবে আমরা জানি আমার মাকে দুলাল মিয়া বিয়ে করেছে। কিন্তু আজ জানলাম তাদের বিয়ে হয়নি।

ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি রিনা বেগমের মরদেহ পড়ে আছে। গলায় ওড়না পেঁচানো আছে। প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। দুলাল মিয়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে কিভাবে মৃত্যুবরণ করেছে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড