এম.কামাল উদ্দিন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার (রাঙামাটি)
রাঙামাটি জেলা সদরের সাথে গত তিন মাস (এপ্রিল-জুন) জেলার ৬ উপজেলার সাথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে লক্ষ মালিক পক্ষের প্রায় ১০ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার মত লোকসান হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি নৌ-পথে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৫৩টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে। তা ছাড়া যাত্রীবাহী ও মালামাল বহনকারী ৩শ বড় বোট রয়েছে।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানান, ৫৩টি যাত্রীবাহী লঞ্চ বাই রোটেশনে প্রতি দিন প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মত উপার্জন বা আয় আসতো। আর যাত্রীবাহী বড় বোট এবং মালামাল পরিবহনকারী ৩শ’বোট থেকে প্রতিদিন ৭ লক্ষাধিক টাকা আয় হতো। গত এপ্রিল মাস থেকে চলতি জুন মাস পর্যন্ত এসব যানবাহন বন্ধ থাকায় এতে করে প্রায় ১০ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার মত লোকসান গুনতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।
এতে করে অর্থনৈতিকভাবে চরম বিপাকে পড়েছে লঞ্চ মালিক ও লঞ্চ শ্রমিকেরা। এর মূল কারণ কাপ্তাই হ্রদে পানির অকাল। অন্য দিকে এবছর দেরিতে বৃষ্টিপাত হতে দেখা যাচ্ছে। যার কারণে কাপ্তাই হ্রদে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে আছে।
লঞ্চ কর্মচারী নুরুল হক ও স্বপন কুমার জানান, বছরে দু’টি ঈদ একটি ঈদুল ফিতর অপরটি ঈদুল আযহা। এই বড় দু’ঈদে লঞ্চ থেকে বড় একটা ইনকাম আসে। কিন্ত এবার দুই ঈদের একটি পেলাম না। তাই অর্থনৈতিকভাবে চারম বিপর্যয় ঘটেছে লঞ্চ এর উপর।
রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম বলেন, এ বছর অনেক আগে থেকেই কাপ্তাই হ্রদে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। যার কারনে গত এপ্রিল মাস থেকেই জেলার ৬ উপজেলার সাথে লঞ্চ ও বড় বোট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে এক দিকে লোকসান অন্য দিকে বসে বসে শ্রমিকদের বেতন দিতে হচ্ছে। তাই আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। লঞ্চ শ্রমিকেরাও অমানবিক কষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাটাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গত ৫বছর আগে থেকেই আমরা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে হ্রদ ড্রেজিং ব্যাপারে সরকারকে অবগত করে আসছি। কিন্তু হ্রদ ড্রেজিং হবে হচ্ছে বলে কালক্ষেপন করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং করার প্রক্রিয়াধীন। পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পটি একনেকে পাঠিয়েছেন। একনেক থেকে পাস হওয়ার সাথে সাথে কার্যক্রম চালু হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড