মনিরুজ্জামান, নরসিংদী
নরসিংদীর মাধবদীর পাঁচদোনায় জোরপূর্বক একটি আড়তের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ফেলার সময় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আড়ৎ মালিক পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। মেহেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্তর নির্দেশে এই হামলা করা হয় বলে দাবি ভুক্তভোগী পক্ষের।
গতকাল বুধবার (১৪ জুন) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে পাঁচদোনা মোড় সংলগ্ন আল্লাহর দান ফল ও কাঁচামালের আড়তে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আড়ৎ মালিক পক্ষের মাধবদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগীরথপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের তিন ছেলে নোবেল (২৬), পাভেল (৩০) ও জুয়েল ( ৩৫), দীঘির পাড়ের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হৃদয় (২২) ও কুড়ের পাড়ের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে ইয়াসিন (২৪)। এদের মধ্যে জুয়েলকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকিরা নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা যায়।
আড়ৎ পার্টনার রাসেল মাহমুদ জানান, প্রায় ৭ বিঘা খাদের উপর মাটি ভরাট করে নির্মিত আড়ৎটির পেছনের দিকে একটি প্রবেশপথ রাখা হয়েছিল। আড়ৎ নির্মাণকালে মালামাল পরিবহনের কাজে সেটি ব্যবহার করা হতো। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে ওই পথে আড়তের মালামাল চুরি হওয়ায় সম্প্রতি তা বন্ধ করে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়।
তিনি আরও জানান, ২০২১ সনে স্থানীয় রতন ভুঁইয়া ও রিপন ভুঁইয়া গং এর কাছ থেকে ১০ বছর মেয়াদে জমিটি ভাড়া নিয়ে সেখানে আল্লার দান ফল ও কাঁচামালের আড়ৎ নামে অংশিদারীত্বে উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। ওই সময় স্থানীয় মেহেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজহার অমিত প্রান্ত আড়তের আরেক পার্টনার কামাল হোসেনকে ডেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি কামরুল আশরাফ খান পোটনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সুরাহা হয়।
রাসেল মাহমুদ জানিয়েছেন, কাঙ্ক্ষিত চাঁদা না পাওয়ায় ওই সময় থেকেই আড়ৎটির প্রতি চেয়ারম্যানের বিরাগ দৃষ্টি ছিল। এর প্রেক্ষিতেই বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে চেয়ারম্যানের নির্দেশে গ্রাম পুলিশদের উপস্থিতিতে জোরপূর্বক বেষ্টনী দেয়ালটি ভেঙে ফেলা হয় বলে দাবি তার। এ সময় এতে বাধা দিতে গেলে পাঁচজনকে তারা পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে মেহেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজহার অমিত প্রান্ত’র সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি জানান, স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে দেয়ালটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে বাধা দিতে আসলে আড়ৎ মালিক পক্ষের কয়েকজনকে স্থানীয় জনতা গণধোলাই দেয় বলে দাবি করেন তিনি।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাটিকে তিনি নিছক হাতাহাতি বলে অভিহিত করে জানান কারো পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত (এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড