• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ওসিকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

  জে রাসেল, ফরিদপুর

১৪ জুন ২০২৩, ১৬:৫৯
ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ওসিকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

অর্থ আত্মসাৎ, ঘুষ লেনদেন, সেবা প্রত্যাশীদের সাথে অসদাচরণসহ নানা অভিযোগের বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম.এ. জ্বলিলকে দুদকের জেলা কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৪ জুন) সকাল ১০টায় তাকে ফরিদপুর দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয়ে ডাকা হয়। এ সময় তাকে প্রায় ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক ফরিদপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুর ১২টায় দুদক ফরিদপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম এ প্রতিবেদককে জানান- একজন ওসির বিরুদ্ধে যে যে ধরনের অভিযোগ থাকতে পারে সেসব ধরনের অভিযোগ আছে ওসি এম.এ জ্বলিলের বিরুদ্ধে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ডাকা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সম্প্রতি কোতোয়ালী থানার পাশে পুলিশ স্কয়ার মার্কেটে দোকান বরাদ্দ নিয়ে ব্যাপক অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, অবৈধভাবে ঘুষ লেনদেন এবং সেবা প্রত্যাশীদের সাথে অসদাচরণের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এছাড়া তার ব্যক্তিগত সম্পদের বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় সব বলা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে বেলা সাড়ে দুপুর ১টার দিকে কথা হয় (ওসি) এম.এ জ্বলিলের সাথে। তিনি অভিযোগের বিষয়গুলো অস্বীকার করেন। তিনি বলেন- পুলিশ স্কয়ার মার্কেটের বিষয়ে বেনামে চিঠির বিষয়ে আমাকে ডেকেছিল।

অভিযোগের বিষয় ছিল- মার্কেট নিয়ে অনেক টাকা আত্মসাৎ হয়েছে কিন্তু মার্কেটতো এসপি আলিমুজ্জামান স্যার থাকাকালীন হয়েছে এবং সকল টাকাই ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে, এখানে এক টাকাও এদিক-সেদিক হয়নি। বেনামে একজন চিঠি দিয়েছে মার্কেটের দোকান থাকে ২৫ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে। কিভাবে ২৫ কোটি টাকা আসল তা আমাদের জানা নেই। মার্কেটের সবগুলো দোকানের সিকিউরিটি বাবদ ৩ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। নিচ তলার ১০০ স্কয়ার ফিট দোকান প্রতি ৮ লাখ টাকা ও দ্বিতীয় তলার ১০০ স্কয়ার ফিট দোকান প্রতি ৬ লাখ টাকা করে সিকিউরিটি হিসেবে নেওয়া হয়েছে। সকল টাকার হিসেব সঠিকভাবে করা হয়েছে। এখানে চারআনাও এদিক-সেদিক করার সুযোগই নেই, সব টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে হয়েছে। একজন বেনামে চিঠি দিতেই পারে।

মার্কেটের দুজন দোকান মালিকের সাথে কথা হলে ইনসাফ ডোর অ্যান্ড হার্ডওয়্যারের মালিক আল আমিন জানান, তিনি চারটি দোকান নিয়েছেন এবং প্রতিটি দোকানের জন্য আট লাখ টাকা করে দিয়েছেন।

হাই শেখ টাইলস এর মালিক আলাউদ্দিন বলেন, আমি এই দোকানের সিকিউরিটি বাবদ আট লাখ টাকা দিয়েছি।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড