সাইফুল ইসলাম, ধামইরহাট (নওগাঁ)
নওগাঁর ধামইরহাটে জোরপূর্বক গৃহনির্মাণ ও জমি জবর-দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হয়রানীমূলক মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে বাড়ি ছাড়া করে সকলের অনুপস্থিতিতে জোর করে ধানের ক্ষেত নষ্ট করে দিনে দুপুরে টিন সেডের ঘর নির্মাণের চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষ ছইম গং।
উপজেলার কৈগ্রামে এই ঘটনা ঘটলে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে থানা পুলিশ ঘর নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে।
উপজেলা কৈগ্রাম মৌজার কাজেম উদ্দিনের ছেলে ইউসুফ আলীর ধামইরহাট থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জুন সকাল ১০ টায় একই গ্রামের ছমির উদ্দিনের ছেলে ছইম উদ্দিন (৪০) ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা কৈগ্রাম মৌজার আরএস খতিয়ানের ১৭২নং দাগে ২৯ শতক জমির কিছু অংশের ধান কেটে ঘর তৈরি নির্মাণের চেষ্টা করে।
সোমবার বিকালে ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গেলে বাদী ইউসুফ আলী জানান, তার দাদা মহির উদ্দিনের নামে আরএস খতিয়ানে লিখিত দখল মোতাবেক খতিয়ান সৃষ্টির পর থেকে দখলে থাকা জমিতে হঠাৎ ছইম উদ্দিন গং জবর দখলের পাঁয়তারা করছে এবং এই জমিকে কেন্দ্র করে ছমির উদ্দিনের লোকজন যখন তখন আমাদের রাস্তাঘাটে চলাচলে বাধা-বিগ্রহ সৃষ্টি করছে। বন্ধ করছে বাড়ির পানি যাবার রাস্তা।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের হয়রানীমূলক মামলায় আদালতে জামিনে গেলে তারা আমাদের জমিতে ধান মেড়ে দিয়ে জোর করে বাড়ী করার চেষ্টা করেছে এবং আমাদের মেয়েদের মারপিট করে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে, কাগজপত্রে তারা জমি পেলে তারা নিবেন এতে আমাদের কোন বাধা নেই।
অপর দিকে ছমির উদ্দিনের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আরএস খতিয়ান ও ক্রয় সূত্রে আমি ১৭২ নম্বর দাগের জমির অংশীদার। ছমির উদ্দিনের পুত্র ছইম উদ্দিনের স্ত্রী হালিমা বেগম জানান আমার শ্বশুর তার পুত্রকে জমিটি রেজিস্ট্রি করে দেয়।
বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ধামইরহাট থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী জানান, জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় বিজ্ঞ আদালত ছাড়া মুখের কথায় কখনো কোন সমাধান হয়, আর কেউ কারও জমিতে জোর করে বাড়ি করলেই সেটার মালিক হওয়া যাবে, যা আইন সম্মতও নয়। বাদী ইউসুফ আলীর অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড