• সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন

সর্বশেষ :

sonargao

পানি সংকটে আউশ উৎপাদনে শঙ্কা

  কাজী শাহরিয়ার রুবেল, আমতলী (বরগুনা)

১০ জুন ২০২৩, ১১:৫৭
আউশ

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বরগুনার আমতলীতে আউশের উৎপাদন কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দিন যত যাচ্ছে শঙ্কা ততই বাড়ছে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে। উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আউশের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২৪ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যা আবাদ হয়েছে তাতে ৩ হাজার ৫ শত মেট্রিক টন আউশ ধান পাবার সম্ভাবনা রয়েছে।

আউশ আবাদের ভরা মৌসুম থাকলেও প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ কৃষক। একদিকে ঘনঘন লোডশেডিং অন্যদিকে নেই বৃষ্টি। কিছু কিছু অঞ্চলে রয়েছে শ্রমিক সংকট। তাই সেচ দিয়ে জমিতে ফসল ফলানো খুবই কষ্টসাধ্য। এজন্য আউশ ধান রোপন থেকে অনেক কৃষক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। পানির অভাবে অধিকাংশ জমি অনাবাদি রয়েছে। তাছাড়া সার ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় চাষাবাদে খরচ বেড়ে সংকট তৈরি করেছে, যা আউশের সার্বিক উৎপাদন ব্যাহত করবে।

বরগুনার আমতলী একটি কৃষি নির্ভর উপজেলা। সব মৌসুমে কৃষকরা ফসল ফলান। তবে এবারের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। প্রচন্ড তাপদাহে নেই কোন শ্রমিক। আবার আউশ রোপন করার মতো পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা নেই। কিছু কিছু ইউনিয়নের কৃষকরা আউশ রোপন করছেন। তবে পানির অভাবে জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছেন এসব কৃষক। বৃষ্টি না হলে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। আউশ আবাদের স্বপ্নে কৃষকরা বিভিন্ন এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়েছেন। পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা না হলে এবার অনাবাদি থাকবে হাজার হাজার হেক্টর জমি। ডিজেলের দাম বাড়তি থাকায় সেচ দিয়ে জমি চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না জানিয়েছেন অনেক কৃষক। কৃষি নির্ভর মানুষের পক্ষে আউশ চাষে সফলতা না পেলে জীবনযাত্রার মান হবে খুবই কষ্টময়।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কোন কোন কৃষক বীজতলা তৈরি করেছন কিন্তু জমি চাষ করতে পারেন নাই। আবার কিছু কিছু কৃষক জমি চাষ করছেন পুকুর বা খাল থেকে সেচ দিয়ে। তবে ডিজেলের দাম অনেক বেশি ও শ্রমিক না থাকায় ভোগান্তিতে পরেছেন এসব কৃষক। উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের অধিকাংশ বিলের জমি খালি রয়েছে। সরকারি কোন সহযোগিতা বা পরামর্শের ঘাটতি রয়েছে এমন অভিযোগ রয়েছে অনেক কৃষকের।

উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন রাওঘা গ্রামের কৃষক মনির শিকদার জানান, পানি নেই, বৃষ্টিও নেই। তীব্র গরমে পাচ্ছি না শ্রমিক। এবার সব জমিতে আউশ রোপন করতে পারবো কিনা জানি না। তবে বৃষ্টির অপেক্ষায় আছি। বৃষ্টি হলে চাষাবাদ করতে পারলে হয়তো কিছুটা অর্থনৈতিকভাবে সফল হতে পারবো।

একই গ্রামের খোকন প্যাদা বলেন, গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। তাই শ্রমিক পাচ্ছি না। বৃষ্টি নেই, জমির আশেপাশে কোথাও পানির ব্যবস্থা নেই। তাই খুবই সমস্যায় আছি আউশ আবাদ নিয়ে।

চাওড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কৃষক মোস্তফা বিশ্বাস বলেন, গরমে শ্রমিকরা কাজ করতে আগ্রহী নয়। তাছাড়া চাষের জন্য পানি নেই। বৃষ্টি নেই কয়েক মাস ধরে, তাই কৃষি কাজে ব্যাঘাত ঘটছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. রাসেল মুঠোফোনে বলেন, চলতি বছরে আউশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা কষ্টসাধ্য। তার চেয়েও বড় বিষয় হলো দীর্ঘ খড়ায় সেচ ব্যহত হয়েছে। কয়েকদিন বৃষ্টি হলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড