আনোয়ার পারভেজ, নাটোর
নাটোরে কলেজ শিক্ষিকার সাথে একান্ত ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়া আলোচিত সেই চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম লিপনের বিরুদ্ধে এবার প্রতারণার অভিযোগ করেছেন- চিকিৎসা নিতে আসা এক ভুক্তভোগী সেবাপ্রার্থী রোগী।
নাটোর সদর উপজেলার উত্তর হাগুরিয়া এলাকার মৃত মোজারের ছেলে গোলাম মোস্তফা চুনু পূর্বের কর্মস্থলের পরিচয় প্রচার করে ও প্রেসক্রিপশন প্যাড ব্যবহার করে প্রতারণা করছেন এমন অভিযোগ এনে সিভিল সার্জন বরাবর এই অভিযোগ করেছেন।
তবে চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম লিপনের দাবি তিনি সম্প্রতি বদলি হওয়ায় এমন জটিলতা হয়েছে আসলে এটা কিছু নয় শুধু মানুষকে বিব্রত করাই এর উদ্দেশ্য। রবিবার করা ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, ডা. আমিনুল ইসলাম লিপন শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ সিরাজগঞ্জে পোস্টিং হওয়া স্বত্বেও সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়োগপ্রাপ্ত আছে মর্মে প্রচারণা ও প্রসার চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তার প্রেসক্রিপশন প্যাডেও একইভাবে সেওই সেখানকার সহকারী অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে মর্মে উল্লেখ করা আছে।
বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে রোগী দেখার প্রচারণা চালাচ্ছে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে। এটি একটি জালিয়াতি ও প্রতারণার শামিল বলে উল্লেখ করে বলা হয় এতে রোগীদেরকে বিভিন্ন ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে ও রোগীদের ধোঁকা দেয়া হচ্ছে। মডেল হাসপাতালে তার নামে মাইকিংও করা হচ্ছে।
এতে তিনি এর জন্য জালিয়াতি ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণও এটি বন্ধের দাবি জানান। ওই ভুক্তভোগী আবেদনের সাথে আলসান হাসপাতালের প্রেসক্রিপশন প্যাড, ফাইল ও বিভিন্ন সাইন বোর্ডের ছবি ও মাইকিং এর রেকর্ডিং জমা দেন।
এ দিকে বিষয়টি নিয়ে গোলাম মোস্তফা চুনু এই প্রতিবেদককে জানান, একজন বড় মাপের চিকিৎসক হয়ে এধরনের দায়িত্বহীন ও প্রচার প্রতারণা অপরাধের শামিল। এর ব্যবস্থা দ্রুত করা দরকার।
এ ব্যাপারে আলসান হাসপাতালের পরিচালক বাবলু ও সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমানের ফোনে কল দিলেও তারা রিসিভ করেননি। তবে সিভিল সার্জন অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, এ ব্যাপারে একজন ভুক্তভোগী তাকে ফোন করেছিলেন তিনি লিখিত ভাবে সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ করতে বলেছিলেন। এর বাইরে বাকিটা সিভিলসার্জনের কাছে জানার পরামর্শ দেন।
তবে মডেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল খান জানান, বদলির বিষয়টি তারা জানতেন পরে জানার পর তারা নতুন করে প্যাড করতে দিয়েছেন আর মাইকিং বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে সিল বানাতে দেয়া হয়েছে জানান তিনি।
এ দিকে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালক আগের প্যাডেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে স্বীকার করেন। এ দিকে বিষয়টি নিয়ে ডা. আমিনুল ইসলাম লিপন বলেন, সম্প্রতি তিনি বদলি হয়েছেন বিষয়টি তিনি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে জানিয়েছেন তারা প্যাড প্রস্তুত করতে দিয়েছেন। তবে আপাতত তিনি প্যাডে বর্তমান কর্মস্থলের পরিচয় সম্বলিত সিল ব্যবহার করে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, এটা কোন বিষয় নয় আসলে তাকে বিব্রত করতে এমনটা করা হচ্ছে। এমনতো নয় যেতিনি কখনো রাজশাহী মেডিকেল কলেজে কর্মরত ছিলেন না। সেখানে ছিলেন সম্প্রতি বদলি হয়েছেন মাত্র পরিচয়টা-তো মিথ্যা না। এর আগে গত বছর এক শিক্ষিকার সাথে অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল হলে ওই শিক্ষিকাকে বহিষ্কার করে কলেজ কর্তৃপক্ষ বর্তমানে তা বিচারাধীন। আর কিছুদিন কিছুটা লোখ-চক্ষুর আড়ালে থাকলেও বর্তমানে নাটোরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পর এর বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সুশীল সমাজে তা নানা সমালোচনার জন্ম দেয়।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড