• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বর্ষার আগেই যমুনায় ভাঙন আতঙ্কে তীরবাসী

  সোহেল রানা, সিরাজগঞ্জ

০৫ জুন ২০২৩, ১০:২৫
বর্ষার আগেই যমুনায় ভাঙন আতঙ্কে তীরবাসী
যমুনা নদীতে ভাঙন (ছবি : অধিকার)

বর্ষার আগেই যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর পয়েন্টে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় অর্ধশতাধিক বসতভিটাসহ ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে নদীর তীরবর্তী এনায়েতপুর স্পার এলাকা থেকে পাঁচিল পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকার শতশত স্থাপনাসহ ফসলি জমি।

স্থানীরা বলছেন, দুই যুগ ধরে ভাঙন অব্যাহত থাকার পর ভাঙন কবলিতদের দাবির প্রেক্ষিতে গত বছর ৬৪৭ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়। কিন্তু সঠিক সময়ে কাজ শুরু না করায় এবারো ভাঙনের কবলে পড়ছে বিস্তীর্ণ জনপদ। এ অবস্থায় ভাঙন আতঙ্কে দিনপার করছে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।

অন্য দিকে, ভাঙনের শিকার মানুষগুলো বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে।

ব্রাহ্মণ গ্রামের মনিরুল ইসলাম, হাসমত, সিদ্দিক ও আব্দুর রউফ জানান, দুই যুগ ধরে এনায়েতপুর স্পার থেকে দক্ষিণাঞ্চলে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙ্গনে হাজার হাজার বসতভিটাসহ ফসলি জমি, মসজিদ, মাদরাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান হাট-বাজার বিলীন হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।

এ অবস্থায় দীর্ঘ দিনের দাবিতে সরকার এনায়েতপুর স্পার এলাকা থেকে পাঁচিল পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এলাকা তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের জন্য সাড়ে ৬শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। গত বছর কাজের টেন্ডারও হয়েছে। কিন্তু পাউবো ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেনি। তাদের গাফিলতির কারণেই গত এক সপ্তাহে আগে স্পার এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়। ভাঙ্গনে অর্ধশতাধিক এলাকা বিলীন হয়ে গেছে।

বর্ষার আগেই যে ভাঙন দেখা দিয়েছে বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গন শুরু হলে অন্তত ১০টি গ্রামের হাজার হাজার বসতভিটা বিলীন হয়ে যাবে। তাদের অভিযোগ ভাঙ্গন শুরু হলেও পাউবো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

ব্রাহ্মন গ্রামের নুর হোসেন, নুর ইসলাম, পাশান, মনতাজ আলী ও মোহাম্মদ আলী হোসেন জানান, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় অর্ধশতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকেই খোলা আকাশের নীচে মানবেতরভাবে বসবাস করছে। অনেকে আশ্রয়ের খোজে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করছে। কিন্তু কেউ তাদের খোঁজ পর্যন্ত নিচ্ছে না। এ অবস্থায় ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভাঙন কবলিতরা।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ চলমান রয়েছে এবং জিও টিউব সংযোজন করা হয়েছে। ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। ভাঙন রোধে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড